উড়ছো গগণ মন আঁচল খেলিয়ে চঞ্চলা রাগিনী
ব্যকুল বেশে তোমার চোখে মায়ার নেশা আজও বুঝিনী ।


সাগর পাড়ে দৃষ্টি চারে বহুদুর ঐ শেষ কিনারার সমাধি
তবুও তোমার গহিন মনে একলা ক্ষনে  স্বপ্নের মাঁয়া বাধি ।


কত স্বপ্নে চমকে ওঠার শব্দ,জব্দ ভুলে আমি নির্জনে চলি
দুচোখ জুড়ে পাওয়ার নেশায় রুদ্ধতা বদ্ধতা ভুলি ।

চেষ্টার ত্রুটি হবে জেনে চেষ্টার চর্চা সরিয়ে দূরে
আধো রাতে জেগে ওঠি হটাৎ তোমার আনমনা মৃদু স্বরে ।


মনে হয় পাশে আছ,তন্দ্রা অনুখন ভারের বেশে
বুঝি আমি মোহের জালে নিজেকে ফেলে রাত্রি শেষে ।


এতো সুখ দিয়ে যাও কেন বল,ভুলতে পারিনা মোটে
ঘুমের ঘোরে মৃদু স্বরে তোমার কথা রয়ে যাই ঠোঁটে ।


ভাবি প্রশান্ত মনে শান্তির সুখ কেন লাগে ব্যথাতুর
যত কাছে যেতে চেয়েছি তত তুমি গিয়েছ দূর।


যবে তোমারে অনুভব করেছি এই হৃদয় আঙিনায়
শত দুঃখ কষ্টে মোর জ্বালা সহনে তবুও ভাংগিনাই।


হাজার তারার বুকে তুমি লেগে আছ সুখের পরসে
প্রেরণা জাগার মধ্যখানে তুমি আছ অনন্ত মিশে ।


ভীরুতার সরল বুলি ছন্দ বাহারে বাজে অন্তরে সারাক্ষন
পাওয়ার চাওয়াতে তোমারে চন্দ্র-তারার মাঝে গুঞ্জন ।


এলিয়ে কুন্তল বাহার ছড়ালে মেঘের পরসে তারে
হার মেনে যায় পশ্চিমা মেঘ,তাই কি আজ ঝরে অঝরে।


আজ ও তুমি সদ্য ফোটা ফুলের কুঁড়ি হয়ে ফোট মোর বুকে
তোমার কল্পনা নিয়ে আমি চলি কল্পনার আত্নহারা সুখে ।


তুমি হারিয়ে যাবে যদি যাও এই কল্পনার সাগরে
তুমি মিশে যাবে যদি যাও এই ঘুম স্বপ্ন আঁধারে ।।