আজ অবেলায় কেন হায়!
বারেবার তোমারেই মনে পড়ে যায়
স্নেহের পরশে আদরে সাদরে
রেখেছিলে যারে মনের কুটিরে
বেঁধেছিলে যারে মায়ার বাঁধনে
আজ কেন তারে ফেলে
তুমি একা চলে গেলে ?


দুয়ারে এসেছিল কত ঝড় অন্ধকার হাহাকার
পারি দিয়েছ কত ব্যাথার পাহাড়
অঝোরে ঝরেছে কত ঝর্ণা নিরবে ধুঁকে ধুঁকে
অন্ধকার ধূসর পাথারের বুকে
তবুও রেখেছ ঘিরে ভালোবেসে
দাওনি কোথাও কভু ফেলে
তবে কেনো আজ তুমি একা চলে গেলে?


কিছু নেই বাকি খুলে দেখি আঁখি
সব কিছু মোরে ছেড়ে
চলে যায় বহু দূরে দূরে
কেউ দেখে না গো ফিরে
আমার গগনে সঘনে ঘিরেছে দুঃখ
বুকের পাঁজর ছিঁড়ে।
চিৎকার করে কাঁদে সে গহীনে
এসেছে রাত ঘনকুয়াশায় ঘেরা ভূবনে
সুখময় চাঁদের কপালে লেগেছে গ্রহণ
চেনা পথ আজ বড়ই অচেনা
তুমি কোথায় গেলে হে চির চেনা?

এই পৃথিবীতে বাস করে না চেনা মানুষেরা
এখানে নেই বৃক্ষ ছায়া পিয়াসার শীতল জল
আছে শুধু শূন্যতার কোলাহল।
রবির কিরণ প্রখর তবু
একটু ছায়া নেই কোথাও
এই পথে একা ছেড়ে মোরে কেনো চলে যাও?

এখানে চৈত্রেরা বারো মাস
পুড়িয়ে করে ছাই নরম ভুমি
কেহ নেই এখানে বুলাতে মাথায় অঙ্গুলি
এ পৃথিবীতে নেই স্নেহ মায়ার পরশ
এখানে বাস করে তিক্ত দুখের দল
রিক্তের বেদনায় ভরা দুঃখ কষ্টের ঢল।
ভয়েরা দাপটে চলে ক্ষয়েরা ডানা মেলে
এখানে একা রেখে মোরে কোথায় গেলে চলে?

কোন বা পথের দিশা ধরে কোন বা বিদেশে তুমি
হেথায় খুঁজি, হেথায় খুঁজি, পাই না কোথাও ওরে!
আজও তোমারেই বিষম ভীষণ মনে পড়ে।