মিষ্টি গন্ধযুক্ত মসৃণ কৃষ্ণ কুন্তল
বিছিয়ে দিলে,লাগে কালো বাদল
ঝর্ণার মতো দোলে,বাজে মাদল।
                                          
কাস্তের মতো,চাঁদোয়া বর্ণ ললাট
ফোঁটা ফোঁটা জমেছে ঘর্ম শিশির
ঝিলিক দেয় কত আলোক রশ্মির।


চোখের ওপর কৃষ্ণাভ ভ্রু যুগল
যেন কৃষ্ণের হাতে নেওয়া ধনুক
আমায় বানায় চঞ্চল ও উৎসুক।


তোমার কাজল কালো দুই চোখ
কাজলা দীঘির জলে দেখা ভোর
আমি দ্রবীভূত হই নামে ঘনঘোর।


তোমার গোলাপী দুই ওষ্ঠ যুগল
দোদুল্যমান ভীরু চঞ্চল কম্পন
হৃদয় দোলে যেমন দোলে লণ্ঠন।


তোমার চিবুকে সঞ্চিত ঘর্মবিন্দু
যেন এক নীলাভ অপরূপা  চিল্কা
তলিয়ে যায় আমি;শরীর হয় হাল্কা।


পৃষ্ঠ দেশের মসৃণ পেলব যে ত্বক
যেন কাজুবাদাম ও ননির প্রলেপ
দর্শনে সব ন্যায় নীতি হয় বিলোপ।


তোমার ওড়নায় ঢাকা ওই সম্ভ্রম
চিত্রকারের আঁকা পার্বত্য প্রদেশ
গিরিখাত বেয়ে,মন হয় নিরুদ্দেশ।


উদর মাঝে উঁকি দেয় শুভ্র নাভি
যেন বৃষ্টির প্রথম ফোটায় সৃষ্ট গর্ত
বিভোর,আবিষ্ট করে,মন হয় উন্মত্ত।


নাভি থেকে ঊরু পর্যন্ত শরীরের গঠন
মাটির কলশি যেমন অবিকল তেমন
দৃষ্টি নিবিষ্ট,মনে হয় স্বর্গে করছি ভ্রমণ।