আমি ব্যাকরণ মানিনা লেখনির-
অনুভূতি প্রকাশে বাঁধাদায়ী ভ্রুকুটি
করি ছিঁরে-ফেরে, করি কুটি কুটি।


  মনে যা দাগে লিখে ফেলি আগে-
  হতে চাইনা ,সৌখিন নিয়নের সাইন
  আমি মানি যে গো ক্ষ্যাপার আইন।


সহজ কথা বলি,লিখি নিজ মনের ব্যথা
সরল মানুষ যেন,বোঝে আমার কথা।
চাইনা জ্ঞান দিতে,যত আছে আঁতেল
আমি ঝারি না'তো কোন মিথ্যে বাতেল।


আমি দিতে চাই ভাষা যত আছে বোবা চাষা
ভুমি কর্ষে যারা,তুলে আনে সোনালী সূধা।
খনি গর্ভে যারা,ভাঙ্গে পাষাণ কালো পাথর
তুলে আনে হীরে,রাখে সাজিয়ে আলো আতর।


যত আছে শালা(বাবু) হয় মন-কানেতে কালা
ভাবেনা শ্রমিকের ভালো,বোঝেনা মনের জ্বালা।
ভেঙ্গে করি চুরমার,যত আছে কালো ধেড়ে হাত
কেরে নেয় যারা শ্রমিকের মুখেরও পান্তা ভাত।


জীর্ণ ভগ্ন বুকে জাগাতে চাই আশা
আছে মান অভিমান যত বুকের খাঁচায়;
টেনে বের করি,কন্ঠে আনতে ভাষা
মনে জাগায় তাঁদের বিপ্লবের আশায়।


যাঁদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি পায়না ন্যায্য আইন
বাবুদের ঘর বানিয়ে,তাঁরা দেয় রঙের সাইন।
লুটে যত সব টাকা,চুরি করে শ্রমিকের ঘাম
ভাঙ্গি বণিক বাবুর ,আছে যত হেতা হোথা ধাম।


--------------------------------------------
** কবিতাটি কবি খসা হক সাহেবের মন্তব্যে উত্তর দিতে গিয়ে আমার লেখা "মানবতার ফরিয়াদ" কমান্ট বক্সে সৃষ্টি।কবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কবি সঞ্জয় বাবুর ভূত আমাকেও পেয়েছে দেখছি।😁