ঔঁ জয়ন্তি মঙ্গলা কালী, ভদ্র কালী কপালিনী,
দূর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী, স্বাহা স্বধা নমস্তুতে।
এস স্ব চন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী
নম ভগবতী দূর্গা দেবী নমহ্।”


দুর্গা আসুক, উড়িয়ে কেতন অহিংসা আর সাম‍্যবাণী
দুর্গা আসুক, সেই ঘরেতে, যে ঘরে কেউ পাত পাড়েনি,
দুর্গা আসুক, বরণডালায় জ্বালিয়ে প্রদীপ ফুলের মালায়
দুর্গা আসুক, যেই ঘরে রোজ শিক্ষা কাঁদে বেকার জ্বালায়
দুর্গা আসুক, ঢাকের আওয়াজ ঢোল কাঁসিতে ধূনুচ নাচে
দুর্গা আসুক, যেই কুঠিতে অষ্টাদশী শরীর বেচে
দুর্গা আসুক, পূজার হোমে ভরিয়ে ধূনো ধূপের ধোঁয়ায়
দুর্গা আসুক, ক্ষেত খামারে আমন আউষ নবান ছোঁয়ায়
দুর্গা আসুক, দশভূজে অস্ত্র সাজে রণংদেহী
দুর্গা আসুক, কামদুনি আর নির্ভয়া কূল পরিত্রাহী
দুর্গা আসুক, বজ্রপাণি শঙ্খপাণি বরাভয়ে
দুর্গা আসুক, যেই ঘরে মা পুত্রশোকে পাথর হয়ে
দুর্গা আসুক, সুসজ্জিতা বেনারসীর রক্ত পাড়ে
দুর্গা আসুক, বালক যেথায় খাবার খোঁজে আঁস্তাকুড়ে,
দুর্গা আসুক, আলোকজ্বলা ঝাঁ চকচক সোনার রথে
দুর্গা আসুক, জঠর জ্বালা গিলছে যেথায় শিক্ষাব্রতে
দুর্গা আসুক, সালংকারা সর্ব অঙ্গ ভরা জ‍্যোতি
দুর্গা আসুক, বানভাসি দের ফিরিয়ে ধোয়া ক্ষয়খরাতি
দুর্গা আসুক, সিংহবাহন অসুরবিনাশ এলোকেশী
দুর্গা বাঁচুক, প্রতিদিন ই প্রতিঘরে বারোমাস ই ।।

“সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে
শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়নী নমস্তুতে


হে দেবী সর্বমঙ্গলা, শিবা, সকল কার্য সাধিকা, শরণযোগ্য, গৌরি ত্রিনয়ণী, নারায়নী তোমাকে নমস্কার।