অষ্টপ্রহর বকরবকর দুকান  ঝালাপালা
এমন ফ‍্যাঁসাদে ফাঁসবো জানলে পরাতো কে গলে মালা,
কানের কাছে বাজছে সদাই গলা যেন ফাটা বাঁশী
শুধু ফরমাশ ,কাজ আর কাজ ,চায়না একটু বসি,
ঘুমের থেকে উঠেই প্রশ্ন- আজ কি রান্না হবে
তাড়াতাড়ি বলো, দেহ নয় ভালো, বলে ফ‍্যালো কিকি খাবে ,
চা দিতে রোজ ভুলে যায় কভু ভোলেনা বাড়াতে থলি
চা খেলেই আসে প্রকৃতির ডাক, এ বেদনা কাকে বলি,
যত আছে দোষ, আমি নন্দ ঘোষ, যেন এক বলির পাঁঠা
বিয়ে করে যেন করেছে উদ্ধার, আমি কি গলার কাঁটা ?
ওর সাথে আছে ছেলে মেয়ে সব , খালি গলা চেপে ধরে
আমার এক ঝামেলা, পেট পাতলা, সব বলে ফেলি ফস করে,
শুনে তিনজন, বকে অকারণ , করে যে লম্ফঝম্প,
দেখে রঙরূপ, আমি নিশ্চুপ, বুকে ধরে হৃদকম্প,
কিছু দিন আগে, রাগে অনুরাগে, বললাম ওগো শোনো
চলো ঘুরে আসি, বেনারস কাশী, কাজ নেই হাতে কোনো,
কম পয়সায়, এর চেয়ে হায় , নেই কাছে কোনো তীর্থ
চলোনা দুজনে, যাই খোলা মনে, পূণ্য লাভে অধীর তো,
শুনে বেঁধে খোঁপা ,সাজলো যে ধোপা,পারলে আছড়ে মারে
ভেবেছোটা কি,আমি বুড়ি নাকি,কাশী যেতে বলো কারে ?
আমি বল্লাম, আরে রাম রাম, তুমি বুড়ি সে কি কথা !
আমি কি রাবন, নয় দশানন, ঘাড়ে একটাই মাথা,
অবশেষে সেধে, নিয়ে সবে বেঁধে, যেতে হলো কাশ্মীরে
গেল সবগুলি, আধলা আধুলি, ধার শুধি এসে ফিরে,
তবু এ শ্রীমতী, অতীব সুমতি, পাশে আছে পাই বল
তুয়া বিনু রাই, আমি যে কানা ই, তুহি মম সম্বল ,
আমারে যে তুমি,বানিয়েছো স্বামী, বানিয়ে করেছো পিতা
এ বুকেতে তাই, তুমি সবটাই, আমি রাম তুমি সীতা,
যতো পাই ক্লেশ, তোমাকে অশেষ , দিই যে ধন্যবাদ
না থাকিলে তুমি, এ জীবনে আমি, হতাম যে বরবাদ।