হঠাৎ যদি সকালবেলা ঘুমের থেকে উঠে
দেখলে দোরে দাঁড়িয়ে কেউ খুব কালো বিদঘুটে
ইয়া মোটা লম্বা গোঁফ ইয়া বড়ো ভুঁড়ি
হাতে নিয়ে সদ‍্য ফোটা একটি গোলাপ কুঁড়ি
দুহাত দিয়ে চোখ কচলে কি করবে তুমি ?
ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা, জানবে সেটা আমি ।


আবার ধরো যখন তুমি নাইছো নদীর জলে
দেখলে হঠাৎ ডুব সাঁতারে কেউ এলো ঐ কুলে
সামনে তোমার উঠলো ভেসে ডোবা শরীর আধা
বললো তোমায় - কেমন আছো বিনোদিনী রাধা ?
কোমর জলে আটকে তখন কিই বা করো তুমি
ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা, জানবে সেটা আমি ।


যখন কাঁখে কলসি ভরে যাচ্ছ গৃহের পানে
হঠাৎ মালুম হলো কি কেউ আঁচল ধরে টানে !
ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখলে ওমা এতো বিপদ হলো !
কোথায় ছিল ঘুপটি মেরে, হেথায় কখন এলো !
আচমকা এই আপদ দেখে কিই বা করো তুমি
ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা এইতো এটা আমি ।


কাজের শেষে বিকেলবেলা শুনছো যখন গান
শুনলে হঠাৎ কানে এলো জয়জয়ন্তী তান
হেঁড়ে গলায় সাধছে গলা কালোয়াতি সুরে
রাগের পকড় দিচ্ছে যেন তোমার কানেই পুূরে
তখন তোমার গানেতে মন, শুনবে সেগান তুমি ?
ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা, গান গাইছি আমি ।


নিশুত রাতে সবাই যখন গভীর ঘুমের দেশে
জ্বলছে প্রদীপ সামনে তুমি উদাস এলোকেশে
মায়াবী ঐ আলোয় মাখা তোমার কপাল চোখ
অবাক হয়ে দেখছে তোমায় বিদঘুটে ঐ লোক
তখন তুমি স্বপ্নরঙীন ভাবছো কাকে তুমি !
ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা এইতো আছি আমি ।।