হাইগো মা রে, ফেলাগ কিনমু পৈসা দিবি মুকে ?
আইজকে মাগো স্বাধীনতা কৈছে কত্তো লুকে,
দুকান ভত্তি রঙিন ফেলাগ ছোট্ট বড়ো কত্তো
তিনখান্না রঙ মাঝে গরুর গাড়ির চাকার মত্তো,
স্বাধীনতা কেমন পারা কেউ দিকিছিস চোখ্খে ?
টক ঝাল না মিস্টি খেতে, নাকি গায়ে মাখ্খে ?
স্বাধীনতা মানে কি মা একটা ছুটির বার ?
আমোদ কৈরে আয়েশ কৈরে দিনটা কাটাবার !
নাকি শুধু ফেলাগ বাঁশ আর একখান লম্বা দড়ি
কে তুলবে ফেলাগ খানা সিটায় হুড়োহুড়ি,
আইজকেও কি মা রোজের মতন বাপটা যাবে কামে ?
সারা শরীর ভিজবে আবার নোনতা গাঢ় ঘামে ?
আইজকে ও কি মা তুই সারাদিন করবি ঘরের কাজ ?
স্বাধীনতা র দিনে মা তুই জিরান লিবি আজ,
কৈছে লোক্কে আইজকে সব্বাই সমান গরীব ধনী
তা হৈলে মা বল আমরাও আজ বাবুদের সমান ই !
আইজ তাহলে বাপটাকে কর কাজে যেইতে মানা
হামার বাপ আজ বাবু হবে, নাই পেটে থাক দানা,
উপোস দিবো তবু বাপ আজ থাকবে বৈসে ঘরে
বাবুরা কি ছুটির দিনে কাজকম্ম করে ?
তুই ও মা আজ করবিনে কাজ বুক ভরে নে দম
ডাক্তার বাবু তো বৈল্লো যে তোর রক্ত খুবই কম,
আইজকে মা গো স্বাধীনতা, আর নেইকো ভয়
রাত বিরেতে একাই যাবো মন যিখানে চায়
একলা পেয়ে শিয়াল গুলো কামড়াবে না আর
তুর আর কোনও ভয় নেই মা স্বাধীনতা র বার
ইচ্ছে মতন খাবার খাবো পরবো নতুন শাড়ী
পড়াশুনা করলেই পাবো চাকুরী সরকারি
থাইকবে না আর দুঃখ কারো , সবাই সমান হবে
সেইদিন ই দেশটা আসল স্বাধীনতা পাবে,
ধ‍্যাত্তেরি ছাই ভাবছি কিসব আবল তাবল কথা
স্বাধীনতা মিথ্যা কথা শুধুই ছাতার মাথা,
হামরা হলাম কৈলে বাছুর নাচি মনের সুখে
হামার মায়ের দুধ দোয় ঘোষ হামারি সম্মুখে,
স্বাধীনতা হলো একটা মস্ত আইসক্রিম
আগে চুষতো সাহেব সুবো,আজ চুষছে নেতা ভীম,
হামাদের হাল যেই তিমিরে সেই তিমিরেই রয়,
স্বাধীনতা বড়োলোকের, গরীবের তো লয় ।।