আমার আর বলতে ভালো লাগেনি , কোনো কথাই
কথাগুলো হারিয়ে যায়, নশ্বর সত্যির এক মানুষের ইচ্ছে নিয়ে।


আমি ডাক্তারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম।  
খুব বেশী ভীড় নেই।  
বাংলাদেশের মতো এখানে কাকের ঝাঁক সর্বত্র সরব নয়,
এতো উঁচু জানালা থেকে কিছু চোখে পড়েনা।  


ফ্ল্যাগ পোলে অদূরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা, উড়ছে বাতাসে ,
সব পতাকারই একটা দৃপ্ত গৌরব থাকে,
মুহূর্ত গুলোকে চেনা যায়,
ভেতরে হয়তো ছোঁয়াও যায় , ব্যস্ত জীবনে এতো আর সময় কই ?


"আম্মু, তুমি আমাকে জানাবে ডাক্তার তোমাকে কি বললো?"


আমার খুব শ্বাসকষ্ট হয় ইদানিং ,
মাঝরাতে ঘুম ভাঙে অকারণেই।  
হাতের কাছে জানালার ওপারে চাঁদের আলো,
এর চাইতে নিকটবর্তী কোনো আর সম্পর্ক, কোনো আর অনুষঙ্গ নেই।


ছোটবেলায় রচনা লিখতাম, একটি রাস্তার আত্মকাহিনী।  


আজ মনে হচ্ছে লেখালিখি করতে গিয়ে
কোনোদিন কোনো ছদ্মনামে লিখিনি,
হয়তো কোথাও প্রয়োজন ছিল,
জীবনে তো অনেক প্রয়োজন নিতান্ত মামুলী পরিসরেও আসে।


আমি ঈদের দিন তোমার জন্য কি রাঁধবো আম্মু ?
তোমার কি খেতে ইচ্ছে করছে ?
সে ইতস্তত উত্তর দিলো, আনমনে,
ডাল-ভাত।  এইটুকুই।


এখানে উঁচু উঁচু ঝাঁকড়া পাম গাছে
বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে চাঁদের আলো ছড়িয়ে থাকে।


স্রষ্টার অহংকারের চাদর জুড়ে তাঁর ছড়িয়ে থাকা সৃষ্টি।  
মানুষ সেথায় কুড়োতে পারে শুধু, কেড়ে নেবে এমন সাধ্য কার?


আমি তবু অপেক্ষায় থাকি,
প্রতিটি উত্তর যদি অবিনশ্বর সত্ত্বার করুনায় মার্জনার অবকাশ রাখে,
ক্ষুদ্র, তুচ্ছ এই নশ্বর মানুষও আর বাদ থাকবে কেন ?


আনন্দের, আর বেদনার অশ্রুর রং কি খুব বেশি আর আলাদা ?


শুক্রবার, ৮ জুলাই , ২০২২