বিশাল শূন্যতা ,
মহাবিশ্বের গোলকধাঁধা
নিতে বা দিতে দর্শনতত্ব ,


দিলে যা চমকদার, জোড়াসাঁকোর জুড়িদার ,


আমায় তোমার, এই রোজ রোজ, হররোজ
বিষন্নতা বোধের অমোঘ অভীপ্সায় খোঁজ


ছুঁতে ইচ্ছে করে,বেশী , বড় বেশী
অতলান্তিক শূন্যস্থানে মৃদু ভাষী ,


তোমার বিষন্নতাকে চিনি  
সময়ের দায় মাত্র , মানি


তোমার নীরবতায় , একনিষ্ঠ একলব্য,
গুরুদক্ষিণায় উন্মুখ ছিন্নপ্রাণ, ম্রিয়মাণ ।
আর ঘোর মহাকাল জুড়ে আনে চক্রব্যূহ
তোমার অদ্ভুত বিষন্নতাকে ছুঁয়ে দিনমান।


কালকেতুর ধুম্রচক্রে মহানাদে , গতপ্রাণ , করজোড়  
তুমি আমায় তুল্যমানে রাখো মায়াযোগে, মাতৃক্রোড়,


তবুও যেখানে এসে মহাকাল চোখ রাঙায়  
চেনো, উর্বশীকে চেনো, উর্ণনাভে, ডাঙায়
অপরাহ্নের অবরোহী সংক্রামক বিষন্নতায়।


আমি দর্পনের প্রয়োজনে ফুরোই।  
এভাবে ভাবনা  ভালোবাসায়  
এভাবে ভাবনা  ভালো থাকায়।  


জীবনে ভালোবাসার প্রয়োজন , অনিবার্য,
নিভৃতচারী দর্শন প্রজ্ঞার গাম্ভীর্য , সাহচর্য।  
আমি সেথা ক্ষনে হাসি, ক্ষনে কাঁদি, প্রাচুর্য


ক্ষনেক্ষনে  মোহে ভালো বাসায় মাতি
ফেরারী বালিঘড়িতে তবুও সময় বাঁধি।
মহাকালের ক্রোশ ছুঁয়ে স্তিমিত অস্তরাগ
পয়গামে বন্ধ খামে সীলমোহরের দাগ।  


শূন্যতালে শূন্য সময়ের অস্তিত্বেরই ভাগ।