পত্রিকার পাতার প্রচ্ছদে একটা ছবি।
অদ্ভুতুড়ে, খাপছাড়া।
সৃজনশীল লেখার সব প্রতিপাদ্যই
সুকোমল সুন্দর নয়, শালীনও নয়।
একটা নিয়মভঙ্গের নিয়মের প্রতিপাদ্য যেন।
ওখানে আর গ্লাস ফাঁকা না ভর্তি,
যুক্তিটাই যেন খাটেনা।
গ্লাসটাকে ভেঙে ফেলেই যেন সূচনা হয় সবকিছুর,
একেবারে চূড়ান্ত পরিণতির পরিণত রূপ সর্বদাই।
নরম পেন্সিলে লেখাজোখা করবার পরে
আর মুছে ফেলবার কোনো অবকাশ নেই।
সমস্ত চিহ্নই স্থায়ী।


প্রবঞ্চক জীবনের মায়া বলে
উড়িয়ে দেবারও উপায় নেই।
ভাবিয়া করিও কাজ , করিয়া ভাবিও না।


আমি কেন?
আমি এক চুনোপুঁটি,
আমার জীবনে এসব ঘটনার ঘনঘটা কেন?


মাঝে মাঝে ক্ষেপে যাওয়া ছাড়া
কোনো কিছু আর অবশিষ্ট থাকেনা
আবেগ বা অনুভূতির ভেতর।
আমার তো নুন আনতে পান্তা ফুরোনো
জীবনের হিসেব, দিনশেষে ঘরের মেঝেতে
গড়াগড়ি খায় দর্শনতত্বের সারাংশের রাশ টুকরো।


সারে সার , জীবনের কারবার , ভবিতব্যহীন সংসারের মাঝার
আর সেখানে কেবলই সমস্ত জীবন কাতরাতে থাকে যেন
ভাবিয়া করিও কাজ , করিয়া ভাবিও না।