আজিকে এসেছি একোন মাঠের পড়ে
দিবাকর হেলেপড়া বিকেল বেলায়,
মুক্তাকাশে ডানা মেলে বিহগেরা যায়
কী লিখন লিখে আমার স্মৃতির দ্বারে ।।
খাওয়া করে সমাপন ছাগল পাল
চলেছে গৃহ পানে, শাবক সনে
যারা চলে দুগ্ধ খেয়ে আনমনে
ক্ষ্ণনেকে ক্ষ্ণনেকে আপন মনে মারে ফাল ।।
ইরির ক্ষেতের পাড়ে দাড়ায়ে, তাকেয়ে
দেখি, কেহবা কাজের পরে, গরু নিয়ে চলেছে
ধীরে, কাহারওবা এই মাত্র শেষ হয়ছে,
কেহবা চলেছে গামছা কাঁধে, কাস্তে নিয়ে ।।
ঐতো, মলিন বদনে, বিদায়ের রবি,
পাঠায়েছে তার, উষ্ণ অশ্রু সনে
বেদনার অব্যাক্ত ভাষা, কোমল কিরণে,
একোন মায়া আর বিরহের ছবি ?
তারই উত্তরে অরহর গাচে, নোয়ায়
মাথা, নিরুত্তর রহে ক্ষণিকের তরে,
তার পরে হাওয়ার পারশে ধীরে নড়ে,
উচ্চারিল কীণস্বরে, “বিদায়” ।
এদিকে বট-বাবলার সাথে চোখ বিনিময়
হয়ে গেল আজিকার মতো আঁধারের আগে
মরমরিয়ে কীজানি কি আকূতি মেগে,
দাড়ায়ে রইল, বিষন্যমনে বিদায়ের সন্ধ্যায় ।।
সকালের ধানের ক্ষেত, সবুজের চাদর
মুড়িদিয়ে থাকে, অলক্ষে হাওয়া এসে,
ওদের জাগেয়ে যায়, সেকোন দেশে,
জানিনাই, রাখিনাই সন্ধান তার ।।
আমার শার্ট ধরে টান মেরে বলে,
‘চলে আয় অতীতে’, এখন থেকে
বহুদিন আগে, সবকথা স্মৃতিপটে একে
নিয়ে যা, তারপর গেলো চলে ।।
এখানের অতীত কথা! এখানের স্মৃতি!
তখনও কি হেথা রাখাল বাঁজাত বাঁশী,
না জানি কোন তরুনী শুনেছিল বসি,
সে শোনা কি সেখানেই হয়েছিল ইতি!
কে তারা এসেছিল হেথা তরুন-তরুনী
বসেছিল ক্ষনিকের লাগি এই বটেরছায়,
এমনি ভাবে এলিয়ে পড়া সন্ধ্যায়,
চলে গেল তারা মধুর স্বপন বুনি ।।
সে আলাপ আজও কি ভাসে বাতাসে ?
ঐত বটের শাখে, টোনা আর টুনি
ওদের কথায় সে সুরই শুনি,
সব কথা যেন সেই স্বপ্নেরই আশে ।
সেদিনও কি হেথা, শ্রান্ত পথিকেরা এসে
বসেছিল এই বট-স্নেহ-ছায় ক্লান্তিনিয়ে,
চলে গেলো ক্লান্তিহরাবায়ে, শ্রান্তিহারা ।
সেদিনও কি তুমি ছিলে আজিকার বেশে!
আজি হতে বহূদিন আগে !!