। ছন্দ ভাঙা।


হাতুড়িটা কই গেলো রে? দে দিকিনি  এক্ষুনি!
মাথায় আমার খুন চেপেছে, সব ভাঙবার ডাক শুনি।
ভয়ে ভয়ে দেখছো বুঝি? কাঁপছো খুনের গন্ধতে?
তোমাকে নয়, তোমাকে নয়, ভাঙবো এবার ছন্দকে।


জানোই তো ভাই হাবিজাবি পদ্য লিখি ঘোড়ার ডিম
কোনোটা তার সাবেকি চাল কিছু আবার মডার্ন থিম!
সমস্যা এই, সবকটাতেই আপনি আসে ছন্দমিল,
কাব্য দেবী ডুবকি মারেন, ভাবের ঘরে সপাট খিল!


সামাল সামাল! আজকে দেখো ভাঙবো সেসব ছন্দকে
মিলের ঘরের দরজা খুলে দেখবো সেথায় বন্ধ কে।
 এমন  কঠিন শব্দ খুঁজে ঢালবো এনে পদ্যতে
ছন্দ ও মিল  বদলে যাবে নেহাতই গোখাদ্যতে।


কাব্য গ্রামার ভাঙতে হ্যামার ধরনু যেন পরশুরাম
আমার এ রূপ দেখলে হবেন ছন্দবাবু পাংশু আম
চোখ পাকিয়ে এদিক ওদিক দেখছি গেলো ছন্দ কই
আমার ভালো রূপ দেখেছে দেখবে কেমন মন্দ হই।


হায়রে আমার পোড়া কপাল ছন্দ ছাড়া পদ্য নেই
কবিতারা বড়ই স্বাধীন কবির কেউ আর বাধ্য নেই।
কাব্য আমার হায় সাবেকী ছন্দপথেই চলছে রে
বরঞ্চ ওই  হাতুড়িটা আমার মাথায় দাও মেরে!


আর্যতীর্ঘ