। নিরুদ্দেশ।


হঠাৎ যদি জীবন থেকে দুম করে কেউ নেই হয়ে যায়,
মুঠোফোনের শেষ মেসেজে ছেঁড়াসুতোর খেই রয়ে যায়,
জানতে চাওয়ার প্রশ্নগুলো ধুঁকতে থাকে হোয়াটসঅ্যাপের একটি টিকে,
নিস্ফলা সব সন্ধানেরা হাতড়ে মরে ফেসবুকময় দিগবিদিকে,
তেমন নিরুদ্দেশে গেলে সে বন্ধুকে খুঁজবে যাবো কোন ঠিকানায়?
অপেক্ষাতে থাকতে হবে, যদি কোনো আগামীতে সে তার নতুন সাকিন জানায়।


সে এক সময় ছিলো বটে বন্ধু মানে জানতাম তার হাল হকিকত,
জানতাম তার রঙচটা ঘর, মাঠ পেরিয়ে অমুক গলি, তমুক পাড়ার চেনা জগৎ
হারিয়ে গেলে দু চারটে দিন কলেজ কিংবা খেলার মাঠের আড্ডা থেকে,
চেনা রুটের বাস ধরে তার দোরগোড়াতে পৌঁছে গিয়ে চেনা নামে  যেতাম ডেকে,
যতক্ষণ না বাইরে এসে ফিসফিসিয়ে বকারান্ত ঢালতো গালি আমার কানে,
গালি শোনা কেমন প্রিয়, কত মধুর, সেই সময়ের বন্ধুতারা আজও জানে।


আজকে আমার বন্ধু তুমি, তোমায় দেখি ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল পিকে
যতটুকু জানাও তুমি সে সব কথা, সে সব ছবি তুমি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে,
তুমি আমার ঘর চেনোনা, আমিও তো ছাই চিনিনা কোথায় থাকো, কেমন বাড়ি,
ওসব ছাড়াই দিব্যি বাঁচি, ইমোটিকন ছড়িয়ে দিয়ে আড্ডা প্রবল দিতেই পারি,
কিন্তু যদি ভোকাট্টা হও অকস্মাৎই মাঝআকাশে, ছেঁড়াসুতোর লাটাই ধরা আমার হাতে,
বন্ধু তোমার সাকিন বিনা খালি হাতে বসেই থাকি,
আমার হাতে উপায় যে নেই দেখা করার তোমার সাথে।


আর্যতীর্থ