। আলোর খোঁজে।


নতজানু হবো বলে চরণ চলেছি খুঁজে বহুকাল ধরে।
এমন মানুষ কোনো, যার ছোঁয়া আলো দেয় ভিতরে বাহিরে।
মেঘহীন আকাশে অসংখ্য তারার মতো যত উপাসনাস্থল,
কম্পাসকাঁটার মতো দ্ব্যর্থহীন লক্ষ্য নিয়ে অনড় , নিশ্চল,
সেখানে খুঁজেছি আমি; পুরোহিত মৌলবী পাদ্রী বা ভিক্ষু শ্রমণ,
আলোর দিশারী হয়ে যে পথে বলেন তাঁরা করতে ভ্রমণ,
সেপথে ল্যাম্পপোস্টরা জ্বালে শর্তসাপেক্ষে বড় একরঙা আলো
ভিবজিওরের মাঝে সকলের দাবী নাকি তাঁর রঙই ভালো।
খুঁজেছি নিরীশ্বর জ্ঞানীদের ভিড়ে, যেখানে যুক্তিই প্রভু।
কোথায় কুসংস্কারী কুয়াশায় ঢেকে গিয়ে আলো নিভু নিভু,
সেকথা বোঝান তাঁরা অতীব বিশদে। কোন পথে সভ্যতা গেলে,
অবারিত আলো এসে পাহাড়ী ঝোরার মতো ঝংকার তোলে,
সমবন্টন আর সমদর্শীতা নিয়ে সারগর্ভ বক্তৃতা শেষ হলে পরে,
দামী গাড়ি চেপে দেখেছি ফেরত যেতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সজ্জিত ঘরে,
সুতরাং ওই পথ মাড়াইনি আর। কোন পথে দেবো এই মন অঞ্জলি,
ধার্মিক ও জ্ঞানীদের মাঝে খুঁজে মেলে কিছু তত্ত্ব কেবলই,
মানুষ মেলে না। হঠাৎই খেয়ালী এক ঝোড়ো হাওয়া এসে,
ফিসফিস করে বলে, আহম্মকের মতো গিয়েছো হে ফেঁসে
ভুল পথে। আলো যারা দেয় তারা কেউ ওদিকে হাঁটতে যায় নাকি?
সূর্য খুঁজছো কেন, জীবন তো আলো করে একঝাঁক নামহীন নীরব জোনাকি!
যে চাষী বছর ধরে তোমার টেবিলে দেয় ভাত রুটি ডাল,
তাঁতি, মুচি , মেথর আর কাজ করা মাসী, সকলেই জেনো সেই আলোর রাখাল।


জ্ঞানীগুণীর কাছে  আলো পেতে কেন আর যাই অকারণে,
রোজ নতজানু হই এ জীবন আলো করা অখ্যাত অনামী চরণে।


আর্যতীর্থ