। অজানা জ্বর।


একবিংশেও দেখতে দেখতে সতেরটা বছর পার,
আজও অজানা জ্বর কেন হবে চারদিকে রাজ্যে আমার?
কেন কেউ বলবেনা, অনেক হয়েছে খেলা, এইবারে দয়া করে বলে দেওয়া হোক,
কোন জ্বরে ভুগে ভুগে মরছে ও মরে গেলো এতগুলো লোক।
‘ অজানা’ কথাটাতে বড় বেশী অসহায়তা লেপ্টিয়ে থাকে,
যেন দৈবের হাঁড়িকাঠে প্রশাসন বলি দিলো আধুনিকতাকে,
যেন বলে দেওয়া হলো, বিজ্ঞান খুঁজে খুঁজে ক্ষান্ত দিয়েছে তার উৎস সন্ধানে,
কারণ করলে দাবী হাত উল্টে বলা যাবে, ‘ ভগবানই জানে!’
অথচ খোঁজে না কেউ রক্ত মুত্র থুতু, দায় নেই খুঁজে দেখা কোন সে জীবাণু,
ধামাচাপা দিয়ে ফেলে দায় সারা কোনোমতে, লালফিতে ফাঁসগুলো যথারীতি স্থাণু।  
সুস্থ একটা লোক তিন চার পাঁচদিন ভুগে চলে গেলে, কারো কিছু নেই কি বলার?
ততোধিক হতবাক ডাক্তারী নিধিরাম, ধরলেই হবে সেই নিতান্ত  নিরীহ কিছু জামার কলার?
মিডিয়াতে ‘গাফিলতি’ কপচাবে তোতাবুলি, অথচ বলবেনা ফাঁক ছিলো কোনখানে,
মনগড়া তত্ত্বের গুঢ়  আলোচনা হবে, কেন এই বিপত্তি হুজুরেরা সব ঠিক জেনে যান ধ্যানে।
এখনো হয় না দাবী জীবাণুর খোঁজ পেতে মৃতমানুষের দেহরস পরীক্ষার,
কি ভাবে গিয়েছে মরে হট্টাকট্টা লোক, বিজ্ঞান মেনে তার হবে না বিচার।
আন্দাজে বলা হবে জমা জল ফেলে দাও, মশামারা কামানেরা তড়িঘড়ি গর্জাবে খাসা,
ঠিক কোন জ্বর এসে পড়শীকে নিয়ে গেলো, সে ব্যাপারে যথারীতি থাকবে ধোঁয়াশা।


আর্যতীর্থ