। আকাশ ছোঁয়া লোকটা।


যে লোকটা কালকেও পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে আকাশের সাথে আড্ডা মারছিলো,
সে আজ দুম করে নেই হয়ে গেলো।
বলা নেই কওয়া নেই, মৃত্যু পাঠালো তাকে আচমকা হাতচিরকুট,
‘ চলে এসো বাছা! গোধূলির আলো দেখো মিলিয়ে যাচ্ছে রাতের কালোতে,
চলে এসো, আলো থেকে ঠাঁই নাও ঢেউহীন অনন্ত অন্তআঁধারে, যার পরে আর কিছু নেই ।’
সেই চিরকুট পড়ে পাহাড়ের মতো লোকটা আকাশকে বললো,
‘ যাই রে! এইটুকু মনে রাখিস, কেউ তোকে ছোঁয়ার স্পর্ধা করেছিলো!’
আকাশ তাকে সযত্নে পরিয়ে দিলো তারার মুকুট, মেঘ দিয়ে
পরিপাটি করে মুছিয়ে দিলো জীবনের ঘাম,
তারপর, খুব মৃদুস্বরে বললো, ‘ যাই বলতে নেই, বলো আসি।’
পাহাড়ের মতো লোকটা দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেলো অন্ধকারে, ক্রমে তার মুকুটের তারাগুলোও আবছা হতে শুরু করলো,
সময় যথারীতি দুহাতে ঢেকে দিলো তার বাকি যাত্রাপথ।
আকাশ অনেকক্ষণ চেয়ে রইলো তার যাওয়ার দিকে, তারপর কালো মেঘেদের বললো,
‘ ঝমঝম করে বৃষ্টি নামা বাবারা, আজকে পৃথিবীর ডুকরে কাঁদার দিন!’
তারপর, চারদিক কালো করে খুউউউব বৃষ্টি নামলো, আর  ছলো ছলো আকাশ পৃথিবীকে উদাসীন স্বরে বললো,
‘ জানিস, আসি বললেও, চলে যাওয়া মানুষগুলো আর কোনোদিন ফিরে আসেনা!’
বৃষ্টি পড়েই চললো, ঝমঝম, ঝমঝম......


আর্যতীর্থ