। অমর।

তোমার ধর্মের কচকচানি আমার কানে বিষ ঢালে।
শাসকের প্রতি অন্ধ আনুগত্য আমার রক্তে ভিসুভিয়াসের জন্ম দেয়।
মহিলাদের সম্বন্ধে তোমার ধারণায় আমার গা রি রি করে।
আমি ঋজু শব্দে প্রতিবাদ করবো।
আমি ধর্মগ্রন্থ মন্থন করে বিরুদ্ধ যুক্তি খুঁজে আনবো,
আমি সমকালীন অর্থনীতি ও রাজনীতি নিংড়ে তোমায় দেখাবো তোমার পথের বন্ধ্যাত্ব।
আমি তোমায় দেখাবো কোথায় মহিলারা সমান নন, অগ্রণী।

আমি জন্মবৃত্তান্তে সন্দেহপ্রকাশ করে তোমায় মনুষ্যেতর বলবো না।
কারণ আমি জানি , হেরে যাওয়া যুক্তিরা গালাগালির আশ্রয় নেয়।
আমি তোমার ঈশ্বর, তোমার বিশ্বাস, তোমার সংস্কারে ঢিল ছুঁড়বো না।
কারণ আমিও কাঁচের ঘরেই থাকি।
আমি তোমাকে পোড়ানোর হুমকি দেবোনা, তোমার স্ত্রী কন্যাকে গণধর্ষণের হুংকার শোনাবো না।
কারণ আমিও তোমার মতোই সহজদাহ্য। আমার মেয়েরাও তোমার মেয়েদের মতোই সমাজের ঐশ্বর্য্য।
আমি কোনো বুলেটে তোমার নাম লিখবো না। কারণ হত্যা কোনো তর্কের মিমাংসা করে না।

আর তুমি, আমায় হেমলকপানে বাধ্য করবে।
আমায় গুপ্তঘাতক দিয়ে যমের দুয়ারে পাঠাবে।
আমায় ডাইনি বলে পুড়িয়ে মারবে।
রুমালে মুখ বেঁধে আমার বাড়ির সামনে ঝাঁঝরা করে দেবে আমার বুক।

তবু কি আজ অবধি তর্কে জিততে পেরেছো তুমি?
হাজার হাজার বছর পেরোলো, এখনো আমায় মারতে পারলে কই?

আর্যতীর্থ