। অনাবাসী।


ওড়ার ডানায় জোর দিয়েছো, শিকড় আবার কি প্রয়োজন?
এখন তুমি বদলে গেছো, মেঘ হয়েছে তোমার আপন।
এমেঘ সে মেঘ ঘুরে বেড়াও , অনেক নিচে ভিটের মাটি,
নিচের দিকে দাও ছুঁড়ে দাও, তাৎক্ষণিকের ঠিকানাটি।
মাটি সেটাই আঁকড়ে ধরে, গর্ব করে মহল্লাতে,
ঝাপট মারো ডানায় জোরে, স্মৃতিই শুধু মাটির খাতে।


মাঝে মাঝে কৃপার বশে, ফেরো বটে জীর্ণ ঘরে,
দুচারখানা পালক খসে, চঞ্চু নাড়াও কষ্ট করে।
নজর পড়ে মাটির ধুলো, আশেপাশের দৈন্য দশা
ময়লা দেখায় ডানাগুলো, তার ওপরে মাছি মশা।
তড়িঘড়ি ফেরত যেতে, ঘড়ির কাঁটা ছোটাও দ্রুত,
আবার আসা না হয় যাতে, পক্ষে সাজাও ঢালাও ছুতো।
মেঘমুলুকে রান্নাবাটি, তোমার আবার ভাবনা কি হে,
দূরে পড়ে ভিটের মাটি, ফাটল ধরা ব্যর্থ স্নেহে।


মেঘ আসলে কুয়াশা যে, ব্যস্ত জলের কণার আকর,
পাখী যতই উড়ুক কাজে, আসলে সে মেঘের চাকর।
ভিটের সাকিন পাখি ভোলে,মেঘের কিন্তু আছে মনে,
পরিস্থিতির ভোলবদলে, ঝড় এসে যায় ঈশান কোণে।
পাখি তখন ঝাপটে ডানা, দিশাহীনের উড়ান লাগায়,
মেঘমুলুকে তার ঠিকানা, হঠাৎ যেন ভীতি জাগায়।
বিজলিহানার সে সন্ত্রাসে ,পাখি তখন কি আর করে,
ভগ্নডানায় ফেরত আসে , ভুলে যাওয়া সেই শেকড়ে।


উড়তে যতই লাগুক ভালো, আকাশ খাতে শূন্য লেখা,
ভুলেও যদি নোঙর তোলো, বাঁচতে হবে তোমায় একা।


আর্যতীর্থ