। অনর্থক।


কেচ্ছা খালি গুচ্ছ কালি দিচ্ছে লেপে রাজমুখে
কেমন করে ধৈর্য্য ধরে করেন রাজা কাজ সুখে?
নগর থেকে আসছে খবর, কেলেংকারির কীর্তিফাঁস,
কারোর ওপর দায় না দিলে ভোটের সময় সর্বনাশ।


রোজ প্রভাতে রাজসভাতে এসব নিয়ে গোল বাঁধে
চরমতম নীচ এ কাজের দোষ দেওয়া যায় কার কাঁধে।
বদের ধাড়ির কীর্তিকলাপ  রাজ্য জুড়ে চর্চিত,
অনাথ আতুর শিশুরা হয় মর্জিমাফিক ধর্ষিত।


অবশেষে পেলেন পুতুল নিন্দেমন্দ সামলাতে
বদলি এবং ছাঁটাই করেন ডজন দুয়েক আমলাকে।
তাঁদের আঁখির ফাঁকিই নাকি সর্বনাশের মূল কারণ,
দুর্যোধনের নির্দেশে তাই শাস্তি পেলো দুঃশাসন।


বদের ধাড়ি প্রভাবশালী, অভাব কিছুই নেই যে তার
বুকপকেটের ফোনবুকেতে হদিশ আছে সব নেতার।
কোন কামে যে কাদের নামে হচ্ছে জমা প্রণামী,
উহ্য সেসব গুহ্য কথায় মানীরা হন বেনামী।


নাকের ডগায় জন্তু ঘোরে কেউ নাকি তা জানতো না
ছেঁড়াখোঁড়া বাচ্চাগুলো পায়নি কোথাও সান্ত্বনা।
না-পাক পাঁকের খবর রাখেন খলবলিয়ে রাজনীতিক
এই বেলা সব তুলসিপাতা, হলো না তা হজম ঠিক।


যাহোক এসব এঁদো কবির ছেঁদো কথার কান্নাতে,
কারোর তেমন যায় আসেনা,টান পড়েনা ধান্দাতে।
কে কোথা কি বলছে দেশে ,সভায় তা নেই শোনার লোক,
এদের থেকে দেশের কিছু ভালো চাওয়া অনর্থক।


আর্যতীর্থ