।অনব্বই।


যারা নব্বই পায়নি বা পাবেনা, তাদের জন্য কিছু ভেবেছো কি দেশ?
ধিকি ধিকি জ্বলন্ত ক্ল্যাট নিট জয়েন্টে ঝাঁপ দিতে চায়না যে পতঙ্গকৈশোর,
তাদের আগামী নিয়ে কেন নেই কারো কোনো ভাবনা বিশেষ?
তাহলে কি ধরে নেবো প্রজন্ম হওয়া চাই একশোতে শুরু করে নব্বইয়ে শেষ?


এখন তো ভাব এই লাভ নেই বেঁচে থেকে রেজাল্টে         ঊননব্বইয়ে,
টিউশন খল নুড়ি মগজকে গুঁড়ো করে পেশাদারী ছাঁচে ফেলে দিতে তৎপর,
স্বপ্ন চুলোয় যাক, পড়ুয়ার পিঠ বেঁকে স্কুল অস্কুলে ভারী ভারী সিলেবাস বই-য়ে,
সাধারণ মেধা মানে মুখ কালো করে থাকা, চড়ে শুধু মেধাবীরা মই-য়ে।


চটি জুতো ক্ষয়ে ফেলে বিভিন্ন কলেজে দেখা অনার্স বা পাশ পাবে কিনা,
সেটাকে ভবিতব্য করে কত ছেলে কত মেয়ে জীবনের ঠাঁই খোজে জানো?
বৃথাই সময় ক্ষয়, গ্র্যাজুয়েট হতে হয়, শিক্ষা ভড়ং দেখে হেসে বাঁচিনা,
শিক্ষাতে নেই দম যেসব ডিগ্রী থাকে কাগজেই ছাপা হয়ে পেটে ভাত বিনা।


অনব্বই এই সদ্যযৌবন নিয়ে কি করতে চাও দেশ, ভালো করে ভাবো।
এরা সবুজের দল, বাঁধভাঙা উৎসাহে দেশকে গড়তে পারে , তেমনি নিতেও পারে ধ্বংসের পথে,
জীবিকা খুঁজছে ওরা জীবনের পথঘাটে, গোলকধাঁধায় ভাবে কোনদিকে যাবো,
ভুলে গেলে চলবে না , ওই উদ্দাম স্রোতে পাল্টিয়ে যেতে পারে আগামীর সব হিসাবও।


হে আমার দেশ, নয়ের ঘরের সাথে ষাট সত্তর আশি  না মিশে গেলে বলো আগে কিভাবে এগোবো?


আর্যতীর্থ