। অন্য শাহরুখ।


আদালতে চক্কোর, ভয়াবহ ঘূর্ণী,
শুনানি তারিখ পেলে পিতেমো’র পুন্যি।
তারিখ যদি বা পেলো, তবু থাকে ধন্দ
ঠিক বেলা পাঁচটায় সব ঝাঁপ বন্ধ।


সব কই বন্ধ? ঘরে আলো জ্বলছে
রাত্তির তিনটেতে আদালত চলছে।
বাকি সব শুনশান, একজন শুনছেন,
হতাশার চত্ত্বরে আশাদের বুনছেন।


জাস্টিস কাঠাওয়ালা, ডিনারটা খাননি,
বস্তুত সিট ছেড়ে , কোত্থাও যাননি।
দেড়শোর কাছাকাছি সওয়াল আর জবাবি
হয়নি তবুও তাঁর ধৈর্যের অভাবই।


জীবন যখন পড়ে ঘোরপ্যাঁচে আটকে,
কারোর ভাবনাগুলো হয় ‘থোড়া হাটকে’
শাহরুখ কাঠাওয়ালা সেরকমই জাস্টিস,
দেশবাসী করে তাঁকে ভূমি ছুঁয়ে কুর্নিশ।


ভাবনা অবশ্য যায় আরো এক প্রশ্নেই,
তাই নিয়ে গোলোযোগ করার সাহস নেই।
যেই দেশ ভরে আছে কোটি কোটি মামলায়,
এত এত ভ্যাকেশান, কিভাবে সে সামলায়?


একজন কাঠাওয়ালা কেন নেন এত দায়,
কেন শেষ হতে হবে সব কোর্ট পাঁচটায়?
কাঠাওয়ালা পুনরায় ঠিক রাত জাগবেন,
সত্যি যা সমাধান, সেটা কেউ ভাববেন?


আর্যতীর্থ