। অপ্রেমের খোঁজে ।


বলে রাখা ভালো শুরুতেই ,প্রেম নিয়ে এতটুকু মাথাব্যথা নেই।
প্রায়শই জলঘোলা হয়ে যায় ওতে, তাই হেঁটে বিপরীত স্রোতে,
চলো লিখি যত বাদবাকি, অপ্রেমে আজ কিছু শব্দকে মাখি।


কোথা থেকে তবে শুরু করি ? নিষ্প্রেম কাকে গিয়ে ধরি?
মৃত্যুর থেকে নেবো কি তা? শ্মশানে যেমন জ্বলে অবিচল চিতা,
সব দেহ দাহ করে সমউত্তাপে, জীবনকে কেটেছেঁটে নিজস্ব মাপে ,
যেভাবে সমান করে সমাপ্তিক্ষণ, তেমন নির্বিকার কিছু খুঁজুক না মন!
কিন্তু সেসব দিয়ে কবিতা কি হবে? আখরের ছবি আঁকা ডুবে অনুভবে,
কম্পন না জাগলে তা হয় বুঝি? তবে যাই,অন্য থানে কথাদের খুঁজি....


অন্য, মানে কোথায়? প্রকৃতির বুকে? নিত্য যে ধ্বনি শুনি নদীদের মুখে,
নীরবতার ভাষা বলে যে পাহাড়, পাখি আর ফুলেদের রঙের বাহার,
এ বাতাস, ওই মেঘ , অরণ্যের গাছে, সর্বত্র রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম জেগে আছে।
অপ্রাকৃত সভ্যতাও যদি ঘেঁটে দেখি, ইঁট বালি সুড়কির প্রসাধন মেকি,
সেসব সরিয়ে দিলে কি রয়ে যায়? সম্পর্কে সম্পর্কে প্রেম বয়ে যায়...


ঘৃণা বিদ্বেষ আর হিংস্রতা যত, তাদের তো সারাগায়ে প্রেমহীন ক্ষত,
তবে কি তাদের থেকে যন্ত্রণা নিয়ে, শব্দের মুখে দেবো আগুন জ্বালিয়ে?
কিন্তু সে লেখাতে তো নরকের কালি, কবিতা কখনো নয় অমন কাঙালী...


আতিপাতি করে আমি দুনিয়া খুঁজেছি , অবশেষে হাল ছেড়ে এ সার বুঝেছি,
অপ্রেমে করা যায় গদ্যভনিতা, প্রেম ছাড়া একটিও হয়না কবিতা।


আর্যতীর্থ