। অশ্বত্থামা।


বোমা বাঁধে অশ্বত্থামা, রাত নামে কুয়াশার মতো,
আঁধার বন্ধু বলে ভাবে, হত্যার চাই কিছু ছুতো।
এগারো অক্ষৌহিনী সেনা, বলি হলো ধর্মের নামে
তবুও বিকার চলে বেড়ে, অবিরাম হত্যা ব্যারামে।
আঁধাররাজার ডাক এলে,অশ্বত্থামা জেগে ওঠে,
প্রার্থনা মন্ত্রের ছলে, ধ্বংসকে জপে কালো ঠোঁটে।
পাণ্ডব সুখে নিদ্রিত, যুদ্ধেরা নেই আশেপাশে,
দুর্যোধনের ঘুম নেই, খুন চায় প্রতি নিঃশ্বাসে
পরাজিত কৌরব সেনা, মসুল হয়েছে হাতছাড়া,
রাক্কাও প্রায় যাবে যাবে, শিয়রে যমের কড়ানাড়া,
যুদ্ধের বর্ম ফুটিফাটা, ভগ্ন হয়েছে দুই ঊরু,
তবু তার শয়তানি মনে, লাশ গোনা এই সবে শুরু
রাতের আঁধারে চুপিচুপি, নেটে আসে শয়তানি ডাক
ধর্মের বঁড়শিতে বেঁধে, বিশ্বাসী মানষের ঝাঁক।
কুরুপতি ছদ্মতে বলে,' হে ঈশ্বরবিশ্বাসী শোনো,
প্রার্থনা হেরফের হলে, তাদের শত্রু বলে গোনো
ওদের বাঁচতে দিও না, ওরা সব অধর্মদূত,
( পুরোনো হয়েছে এ বিষ, তবু তার নেশা অদ্ভূত)
জেগে ওঠো তন্দ্রার থেকে, সময় পক্ক্ব আজ অতি
এসো হে পোষ্য পদাতিক, তুমি আজ শেষ সেনাপতি'
ডাক শুনে ছাপোষা ভাবে, ঈশ্বর ডেকেছেন তাকে
( সমস্ত নাশকতা কাজে, পূণ্যের ছুতো দেওয়া থাকে)
ভুলে যায় এতদিন ধরে, মিলেমিশে ছিলো সে সমাজে
পান্ডব খুন করো গিয়ে, সে হুকুম কানে শুধু বাজে।
বোমা বাঁধে অশ্বত্থামা, বেলফাস্ট ,ঢাকা বা কাবুলে,
গাড়ি নিয়ে পিষে দেয় ভিড়, শিশুদের খুন করে স্কুলে,
সব করে ধর্মের নামে, কুরুপতি নাড়ে কলকাঠি,
বাতাসে মৃত্যু ভেসে আসে, রক্ততে লাল হয় মাটি
বহুদূরে গোপন ডেরাতে, ভগ্নোরু রাজা জিভ চাটে
আরো এক খুনে ধার্মিক, ধ্বংসের কাজে ভাড়া খাটে
আসে এক ছোটো বিবৃতি, হত্যা দীর্ঘজীবি হোক
অশ্বত্থামারা অমর, পৃথিবীকে করবো নরক!


জেগে থাকো পান্ডবকুল, এই যুগ ঘুমানোর নয়,
অশ্বত্থামা বাঁধে বোমা, ফাটবে তা যে কোনো সময়..


আর্যতীর্থ