। বলো দেশ।


কোনটা সত্যি ধরি, হে আমার দেশ?
মুহুর্মুহু এখানে ওখানে ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনা,
নাকি জাপানী প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক বুলেট ট্রেনের সূচনা?
কোন ভাবে থাকা বলো করি অভ্যেস।


কোনদিকে রাখি চোখ,হে মাতৃভূমি?
ওই মহাকাশ চিরে মঙ্গলায়ন যায় চতুর্থ গ্রহে , মাথার ওপরে
নিচে যে চাষীর আয়ু ঋণে যায় ক্ষয়ে, লাশ ভুঁয়ে পড়ে,
কোনদিকে তাকাবো মা, বলে দাও তুমি।


কি খবর বুকে নেবো, স্বদেশজননী?
এক নারী পেলো ভার দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিরক্ষায়,
রাশি রাশি মেয়ে ভ্রুণ তবু এই দেশে রোজ খুন হয়ে যায়,
চাপড়াবো আনন্দে নাকি হাহাকারে, বলে দাও শুনি।


আঁচলের প্রসারতা কতটা বলবো বলে দাও।
আশ্রয় পেয়ে গেছে যে আকাশের নিচে তিব্বতী মানুষের ঢল
সে আকাশ দেখে আজ রোহিঙ্গিয়া বিতারন তাড়না প্রবল
বুঝি না মা কাকে ফেলো, কাকে কোলে নাও।


কত সেকুলার তুমি , হে হিন্দুস্তান?
সহস্র বছর ধরে ধর্মেরা পাশাপাশি বয়ে যায় নদীদের মতো
তবুও রক্তপাত, দেশ জুড়ে গোধরা বা বাবরির ক্ষত,
বলে দাও, তোমার আগে না পরে ধর্মের স্থান।


কতটা সহিষ্ণু তুমি, তেরঙা পতাকা?
উগ্র ধর্মবাদী ঘৃণা উপচাতে পারে অনায়াসে উঁচু বেদী থেকে,
অথচ কলমগুলো বেঁচে থেকে লিখে যেতে সমঝোতা শেখে,
বলো দেশ, কিসের জন্য এত চুপ করে থাকা?


আর্যতীর্থ