। বাঙালীর শীত।


উঁহু শীত, হু হু শীত , চারদিকে চিৎকার,
সংসদে ওঠে বুঝি শীতনামে ধিক্কার।
কম্বল আলোয়ান ফেল হলো সব তো,
কে জানে এই হিম কিসে হবে জব্দ!
পারদের চরিত্রে সন্দেহ অতিশয়,
ক্রমাগত নিচে নেমে ছুঁয়ে গেলো সাড়ে নয়।
কলকাতা চিরকাল কেঁপে ওঠে ষোলোতেই
চারপাঁচ লেয়ারেও তবু বলে ভালো নেই।
তাপমান নেমে গেলে শুধু এক অঙ্কে,
বাঙালী চমকে দেখে সাক্ষাৎ যমকে।
ভাব দেখে মনে হয় পথ ঢেকে বরফে
অন্তত ত্রুটি নেই পোশাকের তরফে।
লেপ ছেড়ে উঠবার কারো কোনো নাম নেই
পারলে কাটায় দিন হিটারের সামনেই।
খবর পাক্কা আছে ( মোটে কানাঘুষো না)
হবে নাকি  স্নান করা বেআইনি ঘোষণা।
কদিন আগেই এক বলে গেলো প্রোমোটার
পেয়েছে সে শ’তিনেক ইগলুর অর্ডার।
কেউ কেউ বলে বসে রাম খাওয়া সাহসে
নামলে নামুক না পারা কিছু আরো সে।
দু চার এক্সট্রা পেগে শীত যাবে সামলে,
ঢুকুঢুকু বেশি কোরো তাপমান নামলে।
বাজারে সব্জি বাপু শীতটিত মানে না,
মুদ্রাস্ফীতির হার নিচে যাওয়া জানে না।
যদিও বাঙালী হলো কেঁপে কেঁপে হদ্দ,
কিছু সুখ শীতকালে যায়নি হে বাদ তো।
নতুন খেজুরগুড়ে পাক দেওয়া মিষ্টি,
সকলে সদলবলে পিকনিক ফিস্টি,
দুম করে চলে যাওয়া শনিবার বোলপুর,
খেজুরের রসে ভেজা সকালের রোদ্দুর
বইমেলা আসছে, প্ল্যান করা আগেতে,
পিঠে পুলি উৎসবে কটা কার ভাগেতে,
(সুগার ধাতানি ভুলে বলি সোজাসাপ্টা
বাঙালী হয়না কেউ বিনা পাটিসাপটা)।
তাপমান যদি ধরো নেমে যায় শূন্যে,
বাঙালী থাকবে বেঁচে এসবের জন্যে।
মগজ গিয়েছে জমে , কথা আর নেই হে,
পদ্যটা শেষ করে লেপমুড়ি দিই গে।


আর্যতীর্থ