। বোবা।


কি কাণ্ড দ্যাখ! এত্তটা পথ পেরিয়ে এলাম,
রাস্তা ভেঙে ধুলোকাদার , পেরিয়ে এলাম চুপিচুপি যাবতীয় চেনা আঁধার ,কষ্টে হেঁটে অবশেষে পৌঁছে গিয়ে তোর সকাশে,কি যে তোকে বলতে  এলাম, সেটাই মনে আসছে না যে!
অথচ ভাব, দেখা করা কতদিনের স্বপ্ন আমার,
প্ল্যান করেছি, ম্যাপ দেখেছি, ছক কষেছি সঙ্গোপনে,
নদীর কখন জোয়ার ভাঁটা, কতটা ঠিক খেবড়ো পাহাড়,কোথায় কজন গাছের ছায়া, সব টুকেছি আমার মনে।
জানিস তখন খুব ভেবেছি,  পৌঁছে যদি যেতেই পারি,
একজীবনের ভরবো কথা অমূল্য সেই কয় মিনিটে,
চিলেকোঠার আকাশকুসুম,  নিজের সাথে ভাব বা আড়ি,পলেস্তারার গল্প যেসব খোদাই থাকে হরেক
ইঁটে।
শব্দঘাসের বীজ বুনে তাই চষতে থাকি  মনজমিতে,
সব ফসলই গুছিয়ে রাখি, সুযোগ পেলেই খাজনা দেবো, আজকে যখন সময় এলো ভাঁড়ার খুলে লুটিয়ে দিতে, তখন কেমন গুলিয়ে গেলো এতদিনের
সেই হিসেবও।
আসলে কি জানিস ব্যাপার, খুঁজতে খুঁজতে পথের হদিশ , কেমন যেন রাস্তাচলাই জীবন বলে ভেবেছিলাম, পাহাড় নদী গাছের হিসেব করতে করতে অহর্নিশ, জমিয়ে রাখা কথাগুলো বেভুল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম।
এখন তো তোর সামনে বোবা, কি কাণ্ডখান দ্যাখ দিকিনি, একটা কথার পাচ্ছি না খোঁজ ঝোলাঝুলি উপুড় করে, খেলছে কেমন আমায় নিয়ে ভাগ্যটা দ্যাখ ছিনিমিনি,শুধু আমার চোখের ভেতর আছে কিছু কথা পড়ে।


আর্যতীর্থ