।চাঁদ।


লক্ষ্য নিয়ে ধন্দে ভুগি , ছোট্টবেলার থেকে
লড়ছি এবং ছুটছি খালি, ঝাঁপাই কেন চাঁদকে দেখে
বামন হয়েও, তা জানিনা।
কিন্তু সবাই বলছে ওটাই
ভরপেট্টা ভাত দেবে আর  উপরি কিছু মন্ডামেঠাই,
ভাগ্য ভালো হলে পরে মই বেয়ে ওই ওপর চড়ে,
মেঘের ওপর পারবো নিতে নিজস্ব এক প্রাসাদ গড়ে,
তাই দুবেলা চলছি ছুটে, মুহূর্তদের হরির লুটে
নেইকো মতি।
এমনি ভাবে চেষ্টা হলে যাবেই জুটে
ব্যাংকে টাকা, বাড়ি গাড়ি, দামী ফোনের সোহাগ কানে,
কিন্তু আমার সন্দেহ হয় , ছুটছি যেদিক চাঁদের পানে,
ওই দিকে কি জ্যোৎস্না থাকে, নাকি সবই মোহের ভ্রমে
ছুটতে থাকা,
কে ছোঁবে ওই লক্ষ্যে গিয়ে  চাঁদ প্রথমে,
সেসব রেসে কাটিয়ে দিচ্ছি একটা জীবন, মানেটা কি?
গাড়ি বাড়ি অগাধ টাকায় সত্যি কি চাঁদ লুকিয়ে নাকি
বেবাক ফাঁকি গল্পগুলোয়, চোখের ওপর পুরু ধুলোয়,
সত্যি চাঁদের সাকিন ছেড়ে জীবন পোড়াই ভুলের চুলোয়,
এমন না তো?
যতই থাকুক অযুত সোনা রাজার মতন,
সায়াহ্নতে সময় যখন বলবে ডেকে, জীবন খতম,
তল্পিতল্পা গোটা এবার, মাটি ছেড়ে যেতে হবে বিস্মৃতিতে,
চাঁদ বলে যা ছিলাম ধরে, পরিস্থিতি সামাল দিতে
পারবে কি সে,
একলা আমার সফর জুড়ে আমিই শুধু
ছিলাম যখন, চলে গেলে নামবে তবে মরুর ধুধু,
স্বয়ংবিহীন ।
কাটিয়ে গেলাম এই এতোদিন, সেসব মলিন
হতে কি আর সময় লাগে, স্মৃতিরা নয় মোটেই স্বাধীন,
অন্য লোকের কাছে থাকে গচ্ছিত সব ঋণের মাফিক।
আমার স্মৃতি, কিন্তু আমার নেই অধিকার, অন্য মালিক
কৃপা করে করলে স্মরণ পড়বো মনে।
বন্ধু মনের নিভৃত কোণে
যে যেরকম নানান সুতোয় নক্সীকাঁথায় ছবি বোনে,
সেটাই স্থায়ী।
আমার মরা কিংবা বাঁচার জন্য দায়ী
জীবন জুড়ে আমার স্মৃতি কয়টা সুখের স্তন্যপায়ী
কেবল সেটাই।
তাবত বামন চল না সবাই ,  সেই স্মৃতিদের চাঁদ খোঁজে যাই..


আর্যতীর্থ