। ছুটি।


অবশেষে ছুটি পেলো রাজার পেয়াদা।তল্পিতল্পা সব হলো বাঁধাছাঁদা,
হুকুমের লেফাফাটি শুধু আসা বাকি।
প্রেয়সীর অনুযোগ বহুদিন ধরে, মুঠোফোনী অভিমান অবরে সবরে ,
' সৈনিক, আমাকে কি ভুলে গেলে নাকি?'
এইবারে ছুটি পেয়ে গাঁয়ে ফিরে গিয়ে, দুজনে যখন যাবে আলপথ দিয়ে,
তখন সে ঝুপ করে আংটিটা দেবে,
কিনেছে এবার যেটা বহু সন্ধানে, ( প্রেমকথা পল্টনে সবলোকে জানে),
মাঝরাতী স্বপ্নরা উত্তাল ভেবে।
কিন্তু কোথায় সেই কাঙ্খিত চিঠি? মঞ্জুর হয়ে গেছে  সবেতন ছুটি,
লোকমুখে শুনেছে সে দপ্তর থেকে,
বহুবার প্ল্যান করে হয়েছে হতাশ, না আঁচালে নেই বিশ্বাস,
বাহিনীতে সব্বাই সেটা ঠেকে শেখে।
সেনার জীবনে নেই ঠিক করা কিছু, চুপমুখে যেতে হয় হুকুমের পিছু,
বস্তুত সেটা তার ললাটলিখন,
প্রেম পরিবার শুধু নাগরিক কথা, সেনাকে বিব্রত করে না অযথা,
উর্দিতে জীবনের সেদিক বারণ।
এবারেও সেরকম, সৈনিক ভাবে, নির্ঘাত গোলমাল ছুটির হিসাবে,
হয়তো ছুটিটা তার নয় মঞ্জুর,
চৌকিতে দাঁড়ানো সে পাথরের মতো।যদিও মেশিনগান সদা উদ্যত,
মন তার পড়ে আছে, বহু, বহুদূর।


এ ঘটনা কোনোদিন আসেনি কাগজে, ব্রেকিং নিউজ শুধু ঘটনাকে খোঁজে,
কিভাবে উগ্র হানা হলো অতর্কিতে,
ঝটিকার মতো দিলো বাহিনী উত্তর।  সব বোমা বন্দুক থামবার   পর,
কিছু নাম যোগ হলো শহীদবেদীতে।
জানলো না সত্যিটা সেই সৈনিক, খবরটা ছিলো তার পুরোপুরি ঠিক,
সবেতন ছুটি ছিলো মঞ্জুর তার,
আংটি আঙুলহীন থেকে গেলো শেষে। গিয়েছে সে যে ছুটির দেশে,
সে ছুটিতে অনুমতি নেই দরকার।


আর্যতীর্থ