। দাম্পত্য।
‘তিতিবিরক্ত এই নিরক্ত রুটিন ঘেঁটে, পালাই এসো!’
‘ ভূতের মুখে রামনাম কেন হঠাৎ মশাই, ঝেড়ে কাশো!’
‘এমন বললে ? বলতে পারলে? ছুটি নিইনা নাকি?’
‘তা হয়তো নাও, নিজের কাজেই খরচ করো, বাকিরা ফাঁকি’
‘কি বলতে চাও? এই তো সেদিন বেড়াতে গেলাম, কত হইচই’
‘ যত মনোযোগ আমরা পেয়েছি, অনেকটা বেশি পেলো ওই মুখবই’
‘ আরে ধুর বাবা! জানতে চাইলো কাটাচ্ছি ছুটি আমরা কোথায়’
‘ সেটাই তো দেখি, গাবিয়ে খবর না দিলে সব মজারা মাঠে মারা যায়!’
‘তুমিও তো দাও। দেখেছি তো আমি আমাদের ছবি। খেলছি ঘুরছি হাসছি..’
‘সময়টা দেখেছো মশাই? তোমার মতন লাইভে থোড়াই ভাসছি!’
‘ আচ্ছা বাবা! ঘাট হয়েছে, এবার থেকে নেট পুরো অফ, হলো?’
‘ অসম্ভব! দুমিনিটের অন্তর তো চেক করতে খোলো!’
‘ তোমার দিব্যি, অফ রাখবো। এই করলাম , এবার চলো, যাবে?’
‘ হুট করে বলো বাঁধাছাদা করো, যাওয়া যায় এইভাবে!’
‘ পকেটের পার্স , চার্জার আর দুজোড়া ডেবিট কার্ড, চলো এইটুকুতেই’
‘খেপে গেলে নাকি, এবয়েসে এসে এ পাগলামিতে যাই বলো আমি নেই।’
‘ বুড়ো হয়ে গেছো নাকি? নাহয় পেকেছে চুল দুচারগাছা, তাই বলে দম শেষ?’
‘ বহুদিন চলে গেছে বিনা অজুহাতে সময় তুবড়ে দেওয়া, পড়ে আছে শুধু অভ্যেস।
‘ সেটাকেই ভাঙি চলো আজ, বয়েসকে ভ্যাংচাই চলো দুইজনে ,
আচ্ছা আসছি চলো, নেট যেন একেবারে অফ থাকে ফোনে।’
‘ যে আজ্ঞে, দু চারটে সুযোগী আদর অফ না হলেই হলো’
‘ তিনকাল চলে গেলো তবু ভীমরতি। আচ্ছা সে দেখা যাবে, এখন তো চলো!’
আর্যতীর্থ