।ধর্ম।


ধর্ম হে ধর্ম,
নয় গৃহকর্ম
রাজনীতি পতাকার
পরিচিত বর্ম।
আমরা না ওরা’তে
নজরটা ঘোরাতে
ধর্মকে পাওয়া যায়
বল্লমে ছোরাতে।
পুজো আর নমাজে
পাশাপাশি সমাজে
দেখলেই ধর্মের
কাছে নেই ক্ষমা যে।
মিলমিশ এড়াতে,
তড়িঘড়ি বেড়া-তে
ধর্মে মানুষজন
বদলায় ভেড়াতে।
টুপি আর তিলকে
ক্রুশে পোঁতা কীলকে
মানুষকে বাঁটবার
এত ছাড় দিলো কে?
হিন্দু বা ইসলাম,
হবে কেন বিষনাম,
অযথা পড়শী কেন
এই ফাঁদে পিছলান?
কেন এত রক্ত,
বোঝা ভারী শক্ত,
খুনীরা কখনো হয়
ঈশ্বরভক্ত?
হিংসার কর্ম,
সেটা নয় ধর্ম,
শুনেছি শান্তি সব
ধর্মের মর্ম।
তবে কেন দাঙ্গা,
হিংসা এ নাঙ্গা
তবে কেন অশান্ত
যমুনা বা গঙ্গা?
উত্তর সোজা তো,
সামনেই গোঁজা তো,
ভাবলেই জলবৎ
কারণটা বোঝা তো।
ধান্দা এ শাসকের
নজরকে আটকের
কাজিয়াটা কাজে দেয়
সব দোষনাশকের।
দেখোনি কি ভোটে যে,
কি সব ঘটে যে,
সব উপাসনাস্থলে
নেতা সব ছোটে যে?
দাঙ্গায় মরে যারা
তোমার আমার তারা
নিরাপদে থেকে যান
দুতরফে রাজারা।
তবু কেন যুদ্ধ,
মন অবরুদ্ধ,
তোমার আমার জোটে
একই কুঁড়ো খুদ তো।
গুজবের মিথ্যায়
কেন এত বিষ ছায়,
দাঙ্গা হয়না কোনো
ঈশ্বর ইচ্ছায়।
তোমাদেরও বলি ভাই,
বলা নাই কওয়া নাই
হঠাৎ বাঁধিয়ে দিলে
ধুমাধুম এ লড়াই।
যারা ছিলো পড়শী,
তারই সাথে লড়ছি,
এতই গভীরে গাঁথা
ধর্মের বঁড়শি?
আর কত নামো হে
এইবারে থামো হে,
মানুষের ধর্মটি
সুন্দরতম হে।
ধর্ম হে ধর্ম,
হোক গৃহকর্ম,
ঈশ্বরে খুঁজে নাও
মানুষের মর্ম।


আর্যতীর্থ