।দৃশ্যমান।


যতটা জীবন দেখতে পাচ্ছি ততটুক নিয়ে প্রোগ্রাম প্ল্যান,
আর একটু দিতে সময়ের কাছে খামোখাই করি রোজ ঘ্যানঘ্যান
যেটুকু পেয়েছি সেটুকু দিয়েই দিনের কাঠামো নিই গড়েপিটে
সুখের প্রলেপ কোথাও পড়ুক, দুঃখ ফেলুক কিছু কালসিটে।


আগামীতে কিছু বোনাস আসবে সকলেই বুঝি এমনটা ভাবি
এলোমেলো থাকা হিসেব মিটিয়ে হাতে এসে যাবে সাজানো রেকাবি,
অথচ কারোর এটা জানা নেই সীমানা রয়েছে কত কাছাকাছি ,
বর্তমানকে বেপাত্তা করে সময়ের সাথে খেলি কানামাছি..


ডিভিডেন্ড কত দেবে কি লগ্নী, নখদর্পণে সেই সব আছে,
মিনিটের পুঁজি কতটা রয়েছে , সে ব্যালেন্সশিট নেই কারো কাছে।
ভুগছে যে লোক জটিল অসুখে, সে তবু বুঝেছে শেষ কবে হবে
বাকি যারা আছি আপাতসুস্থ, ভাবি অনন্ত গাড়ি দৌড়োবে।


এক দুই তিন চারটে ওষুধে , সুগার প্রেশারে লাগাম রয়েছে,
ওষুধ খাওয়ার মানেই কিন্তু লাইন্সম্যানেরা তৈরী হয়েছে।
নিয়মে চললে খেলা চালু থাকে, বেচাল দেখলে ফ্ল্যাগ যাবে উঠে
খেয়ালী রেফারি লালকার্ড দেবে শৃঙ্খলা ভেঙে হলে মারকুটে।


বর্তমান যা বার্তা দিচ্ছে, আমরা কি আর তেমন শুনছি,
সুদিন আসার খেয়ালী পোলাওয়ে,ডিম না হতেই মু্র্গী গুনছি।
যতটা জীবন দেখতে পাচ্ছি, সেটাকে পেরোতে কেন যে চেষ্টা,
কে বলতে পারে, জীবন লিখেছে দৃশ্যমানেই কাহিনীশেষটা।


আর্যতীর্থ