। দুই যুবক ও আমরা।


শুধু কি আমাদের দোষ? তোমরা দেখোনি, কিভাবে ওরা ধর্ম বেছে বেছে করছে আঘাত ?
যুবকের আক্রোশ , এ কে ফর্টি সেভেনের গুলির মতো ফুঁড়ে দেয় অকস্মাৎ।
দেখোনি কি, ওরা প্রার্থনার সময় কেমন নজর রাখে, আমাদের সব ফোনে আড়ি পাতা আছে,
কেমন বেছে বেছে আমাদের লোকেদের ধরে ধরে মারে, সে ভিডিও রয়েছে তো সকলের কাছে!
জন্মের পর থেকে যে ভূমি দেখেছি, ক্রমাগত সেই মা’কে ছেড়ে যাতে বলে,
বোঝাও আমাকে তবে, কেন তুলবোনা হাতে আমি কারবাইন,
কি ভেবে দেবো না যোগ জেহাদির দলে?


আমাদেরই দোষ নাকি তবে? ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে দুমড়ানো  অগণিত লাশেদের ছবি,
আজও রয়েছে শিউরানো স্মৃতি জুড়ে।আমাদের দোষ নাকি যদি আগে দেখে নিই নাম ও পদবী?
ফেটে ওঠা আগ্নেয়গিরি হয়ে তিলক পৈতেধারী যুবা বলে ওঠে,
স্বজনহারানো রাগে প্রতি প্রতিশোধকথা টগবগে লাভা হয়ে ফোটে।
স্বদেশের আগে ওরা ধর্মকে রাখে, ওদেরই প্রতিভূ লোক তছনছ করে দেশ নিত্য আঘাতে,
গোটা দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাসে কারা দেয় ধুনো, তোমাকে নতুন করে হবে কি বোঝাতে?


এদেরকে কি বোঝাবো আমি? এরা যে দেশ আর আকাশ বেছেছে বড় একরঙা, ঘৃণা ভরপুর,
কিভাবে দেখাবো বলো এদেশের অনির্বাণ রামধনু আলো,
কিভাবে শোনাবো বলো ফল্গু সে সুর?
এ তো সেই দেশ, যেখানে হিন্দু অন্তঃসত্ত্বার রক্তের তাগিদে ইসলামী যুবকেরা রোজা ভেঙে দেয়,
মসজিদ গড়ে ওঠে  গাঁয়ের সম্পন্ন হিন্দু ব্যবসায়ী লোকেদের জমি ও টাকায়,
এ তো সেই দেশ, যেখানে তুলসীতলার প্রতিটি ইঁটে থাকে মুসলমান রাজমিস্ত্রির সস্নেহ হাত,
তবু বাঁধা ধারণাতে মানুষকে ভাগ করে  ফায়দা তুলতে থাকে বজরং কিংবা জামাত।


এই দুই যুবককে বোঝাতেই হবে, যেটুকু দেখেছে তারা ওইটুকু এদেশের পরিচয় নয়।
সমস্যা একটাই , জাতপাতে ভোট খোঁজা ক্ষমতাজোঁকের ভিড়ে
বোঝাবার মানুষ কোথায়...


আর্যতীর্থ