।দুরকম বাবা।
( নেহাতই মজায় লেখা কিন্তু।
পাঠিকারা গালি দেবেননা প্লিজ)


বাবারা দুইরকম; চমকাবেন না বন্ধুগণ,
মোটেই গোপন নয় , জানেন আপামরজন,
আদি ,অকৃত্রিম এবং নির্ভেজাল সত্য,
চোখের সামনে আছে রাখা এই তথ্য।


কন্যার জনক আর  পুত্রের বাবা
তফাত প্যারিস থেকে যেমন গোসাবা।
ছেলেদের কাছে যিনি যমের মতন,
একই লোক মেয়ের কাছে অরূপরতন।


ছেলে মানে বকাঝকা , মার প্রতিদিন,
মেয়ের কাছে তার বাবা প্রদীপের জিন।
বাঁদর অকম্মা কুঁড়ে ছেলেদের গালি
মেয়ে মানে মধু ডাকে মামণিই খালি।


রেজাল্ট খারাপ হলে চড়থাপ্পড়,
কান ধরে মুলে বলা ‘ভালো করে পড়!
সারাদিন টো টো ঘোরা, বন্ধু বখাটে’
ছেলে মানে ছোটোবেলা এইসবে কাটে।


‘রেজাল্ট খারাপ কেন হলো রে মামণি’
‘গরম বড্ড বাপি, পড়তে পারিনি।’
‘বলবি তো! আহা মা রে, চল ঘুরে আসি,
দোষটা আমারই ,ঘরে লাগাইনি এসি।’


পকেটমানির খোঁজে ছেলে ঘুরঘুর,
ধমকিয়ে বাবা তাকে করে দেন দূর।
‘পয়সা তোমাকে দিলে সিগারেটে যাবে,
কষ্টের ফেলা ঘাম ধোঁয়ায় হারাবে।’


মেয়ে যদি টাকা চায় গলাটা জড়িয়ে,
কোন পাষণ্ড আর থাকে তা না দিয়ে।
তাছাড়া খরচ কত, গয়না ও সাজ,
কোষাগার খুলে দেন পিতা মহারাজ।


মেয়ে মানে বাপ জানে খুঁটিনাটি কথা
ছমছম ভয় ভয় হলে নীরবতা।
ইলিশ না খেলে তবে চিংড়ি আসবে
সেটাই রান্না যা মেয়ে ভালোবাসবে।


ছেলেদের কে আর রাখে অত খোঁজ,
যা কিছু রান্না হলো তাই দিয়ে ভোজ।
চুপচাপ হলে পরে ধমকিয়ে বলা,
বন্ধুরা এলে বেশ শোনা যায় গলা।


সক্কলে জানে তবু কেউ বলেনিকো,
দ্বিচারিতা বাপেদের কাছে গিয়ে শিখো।
আমার বাবা তো দেখি আজও ধমকান
কথাদের ঝড়ে ভয়ে দিই পিট্টান।


‘বাবা আজ খাওয়াবে না, ফাদার’স ডে!’
ওই দেখো বায়নায় আমার দুমেয়ে।
‘বল কোথা ভালো হয় ডিনারেতে গেলে?’
( দাবড়ে দিতাম ঠিক ওরা হলে ছেলে)


আর্যতীর্থ