। এ আমার দেশ।


খচাখচ নেতা ভরা আদালত চত্বর,
কার ভাগে যাবে গদি জানা চাই সত্ত্বর
কবে ভোট, কবে ফল, তারপরে রাজা কে,
কার উল্লাসে নাচ ডেকে ব্যান্ডবাজা-কে,
সবকিছু ঠিক করে দেয় আজ কোর্ট তো
( শুধু যদি আদালত ভোটটাও করতো!)


কার ভাগে কটা নেতা রাজসভা থমথম,
টাকার বৃষ্টি নাকি পড়ে চলে ঝমঝম
বড় নেতা জানছেন ছোটোদের কত ভাঁও,
( আহা বাছা জনগণ, তুমি খালি ভোট দাও)
কোর্ট থেকে বল আজ নেমে আসে ফ্লোরেতে
পিচ বড় ঘূর্ণী, কোন দিকে ঘোরে সে?


এ তো গেলো দক্ষিণ, হচ্ছে কি পূর্বে?
বিরোধীরা বলে দিন এইবারে ঘুরবে।
শাসক বলছে হেসে পরে দিবি বাঁশ তো,
কিছু ভোট বেশি পেয়ে আগে কর পাশ তো।
আমার দখলে আছে শতকরা নব্বই,
তোদের দৌড় তো জানি বড়জোর মুখবই।


উত্তরে অবস্থা শুনছি তো ভালো নয়,
কাশ্মীরে আকাশটা ক্রমে আরো কালো হয়।
জনতা ক্রমেই যেন আরও রণরঙ্গী,
চুপচাপ দেশে ঢোকে লস্কর জঙ্গী।
ইঁট খেলে পাটকেল তবু মারা যায়না,
সীমান্তে জিভ চাটে পাক আর চায়না..


নিজের জায়গা থেকে সরে না তো পশ্চিম
রাজপুত ভূমিহারে প্রতিদিন রক্তিম।
কোটা চায় পাতিদার, কোটা চায় গুর্জর,
ভোট এলে সব দল জাতপাতনির্ভর,
ধর্ম ও জাতিভেদে মনে সব তালগোল,
এ সুযোগ নিয়ে বাড়ে বাবাদের দলবল..


চারখানা দিকে পাবে রকমারি চিত্র
কত ঘুণপোকা কাটে এদেশের ভিত তো।
দিন চলে যায় নানা দুর্নীতি পোষণে
সুদিনের কথা স্রেফ চমকায় ভাষণে।
নেতা থাকে ফূর্তিতে ,জনতা বিমর্ষ
আগামীর দিকে যায় এ ভারতবর্ষ।


আর্যতীর্থ