। এ কলকাতা।


এ কলকাতা গর্জে ওঠে মেট্রোমারের  বিরুদ্ধতায়,
এ কলকাতা ফ্যালফেলিয়ে সেই মারপিট শুধু দেখে যায়,
অনেক শহর এই শহরে , বাঁচছে মরছে লড়ছে প্রবল,
কোথাও পাশে বন্ধু পাবে, কোথাও আবার বিষের ছোবল।


বাকি মেট্রোগুলোর সাথে গুলিও না এই শহরটাকে,
এই শহরে মগজ থেকে হৃদয় অনেক আগে থাকে
যে কলকাতায় বাসের সিটে ঝগড়াঝাঁটি নিত্য লাগে
বালিকাকে ঘরে ফেরায় সে কলকাতা সবার আগে।


এ কলকাতা ম্যাদামারা, গয়ং গচ্ছে চলছে হে সব,
এ কলকাতায় হাজার মানুষ গর্জে ওঠে ‘ হোক কলরব!’
হারিয়েছে সব মিছিল জ্যামে, বলেই বাতিল করছে যারা
তাদের কাছে দেয় না ধরা হরেক রঙের কলকাতারা।


যে কলকাতা ডোভার লেনে চৌরাশিয়ার বাঁশি শোনে,
সে কলকাতাই ঝুপড়িবাসী উড়ালপুলের নিচের কোণে
হুজুগ পেলে গোটা শহর থামতে পারে আব্বুলিসে,
অথচ সব প্রতিবাদেও শানিয়ে তোলে তার বুলি সে।


যে কলকাতা হাঁটতে জানে মিছিল ব্যুহে আটকে গিয়ে,
মনে করায় সমাজকে দায় ম্যারাথনে দৌড় লাগিয়ে
সে কলকাতাই স্থাণু হয়ে কান পেতে দেয় রুদ্ধশ্বাসে,
রশিদ খানের ভৈঁরো যখন ভোরাই হয়ে ভেসে আসে।


বাবুমশাই যেমন থাকেন তেমনি থাকেন শঙ্খ ঘোষ,
প্রতিবাদের পাশাপাশি চলতে থাকে রোজ আপোষ।
নিরস ইঁটের শহর ভেবে ভুল করে যে কেউ তা জানি,
কান পাতলেই শুনতে পাবে, আবেগগুলোর ধুকপুকানি।


আর্যতীর্থ