। একা।


বাড়িতে ঢুকেছে  সে তালা খুলে একা
আয়নায় ঘুরেফিরে নিজেকেই দেখা।
কাজ সব মিটে গেছে আজকের মতো,
একটা সন্ধে আছে পুরো অক্ষত।
কেটলিতে জল ভরে নিলো গ্যাস জ্বেলে
সন্ধেটা ভালো যাবে ভালো চা খেলে।
ঘর ভুরভুর করে চায়ের সুবাসে,
মৃদু স্বরে কিশোরের গান ভেসে আসে।
প্রতিটি সন্ধেবেলা কাজ শেষ করে,
এভাবে রাজার মতো সে ফেরে ঘরে।
এখন সময় তার নফর সামিল,
যা বলবে করবে সে হুকুম তামিল।
হতে পারে আজ ডুব দেবে কবিতায়
অথবা খেয়ালী ছবি আঁকার খাতায়
হয়তো পড়বে কোনো নতুন নভেল ,
মোটকথা , চরকায় নিজে দেবে তেল।
মুঠোফোন দিয়েছে সে সুইচ অফ করে,
পাছে কেউ ঢুকে পড়ে সেই ফাঁক ধরে,
কাউকে দেবেনা ভাগ এসময় সে,
স্বাধীন থাকতে সে ভারী ভালোবাসে...


ওই দেখো ঘরমুখী আর একজনও
যদিও ফেরত যেতে চার নেই কোনো
প্রবল বিরক্ত হয়ে বাতিটা জ্বালালো
আয়না অমনি তাকে মুখ ভ্যাঙচালো
গোটা এক সন্ধ্যা একা আর ফাঁকা,
ঘড়ির কাঁটার টিকে মন আরো খাঁ খা
কেটলির বাষ্পতে চোখ ছলোছলো,
একা একা চা করে খাওয়া যায় বলো?
আলগোছে খুট করে চালালো এফ এম,
আবার সে কিশোরের ন্যাকাসুরে প্রেম,
নিশ্চুপ সন্ধ্যায় মুঠোফোন ঘষে,
ফালতু ভিডিও কিছু একা দেখে বসে,
ধ্যাত্তেরি, অনলাইন চেনা নেই কেউ,
ভিডিওরা মগজেতে ঢোকে না আদৌ,
কবিতার বই নাকি পড়ে একা একা,
আঁতেলের কথা যত , বীভৎস ন্যাকা,
টিভির রিমোট টেপে, যা খুশি চলে,
হেসে খেলে হাত নেড়ে লোক কথা বলে,
সে বসে দেখে যায় , রাত নির্ঘুম,
সময় মালিক তার, সে জো হুকুম..


কেউ মাথা ঠোকে কেউ ওড়ায় পতাকা
সবার সমান নয় একা বেঁচে থাকা।


আর্যতীর্থ