। একশো ছয়।


      ( এদেশে প্রতিদিন একশো ছয়টি ধর্ষণ ঘটে)


বেশি তেমন ভাবার নয়, দিনে মোটে একশো ছয়।
এত্ত বড় মহান দেশে, এইটুকু তো হতেই হয়।
সমস্যা কি বলবো তা কি, গোরু নিয়ে ব্যস্ত থাকি,
কোথায় কটা পাচার হলো নজরদারি দিয়ে ফাঁকি,
তাই তো এসব ধর্ষিতাদের কথা শোনার নেই সময়,
এমন কিছু বেশিও নয়, দিনে মোটে একশো ছয়।


কাজ রয়েছে কতই পড়ে, ধর্মরাজ্য তুলবো গড়ে,
ইতিহাসের ঘটবে বদল পোষ্য পেনের এক আঁচড়ে।
মন্দির আজও হয়নি তোলা, দেশবাসী সব বড্ড ভোলা,
এসব নিয়ে বক্তিমে দিই, শব্দ যেন আগুনগোলা,
দরকারী এই বিষয় ছেড়ে, আর কি কিছু মাথায় ঘোরে?
সবুর করো কয়েক বছর, ধর্মরাজ্য উঠবে গড়ে।


ঘন্টাপিছু পাঁচটা মোটে, ধর্ষকামীর শিকার জোটে,
ভাবলে পরে গুরুত্ব তার , এমন কিছু নেই হে ভোটে
দুই পাঁচলাখ দিলেই হবে, ( পাবলিকে তো পয়সা দেবে)
মিডিয়াতে এক দুদিনই এসব নিয়ে জোর চেঁচাবে,
তারপরে পথ চোরাবালির উকিলবাবুর জেরার চোটে,
দিনে মোটে একশো ছ’টাই ধর্ষকামীর শিকার জোটে।


বরং মেয়েদের সামলে রাখো, পর্দা দিয়ে তাদের ঢাকো
পোশাকই যে পুরুষ ডাকে, কক্ষনো তা ভুলো নাকো
মানছি এখন চারবছরেও, সাবধানতা নেওয়াই শ্রেয়,
ঝামেলাটা এড়িয়ে যেতে সবাই তবে পুত্র চেয়ো,
তাই নইলে আর বাবা ও মা কন্যাভ্রুণের রক্ত মাখো?
একশো ছয়ে না পড়ে যায়, সব নারীদের পর্দা রাখো।


এদেশ নাকি সামনে যাবে, আগামীতে পথ দেখাবে
পুচ্ছতে ফুল গুচ্ছ বেঁধে, সবাই নাকি নাচ লাগাবে।
আপাতত শাসন ভয়ের, প্রতি দিনে একশো ছয়ের
মনে খালি কুডাক আসে ঘনিয়ে আসা বিপর্যয়ের
নেতা তবু তোতার মতন বাঁধা বুলি আউড়ে যাবে।
নিরাপত্তার এ হাল হলে,  সত্যি কি দেশ পথ দেখাবে?


আর্যতীর্থ