।ফেরা।


‘আমার সিন্দুকে কিছু অন্ধকার পড়ে আছে শুধু,
তোমার দিকে তাই যেতে ভয় করে,
পাছে নিভে যাও।’
এই কথা বলে, আমি মুখ ফিরালাম পশ্চিম দিকে,
যেদিকে সূর্য গিয়ে আর ফেরেনা।
ক্রমশ সন্ধ্যা নিভু নিভু হয়ে চারদিক কালো হয়ে আসে।
জমাট আঁধার ঘিরে বসে চারপাশে,
ফুটপাথে জড়ো হওয়া নামহীন ভিখিরির দলের মতো।
অশ্রুর ফোঁটারা নিঃশব্দে চোখ উপচে পড়ে যেতে থাকে,
কতটা ভিজলো বুক আন্দাজে বুঝি।
আরও এক নিরক্ষর পাতা যোগ হয় বিষাদের রোজনামচায়।
হঠাৎ কোনো অলৌকিকে আঁধার আবছা হতে থাকে,
যেন বহুদূর গ্রহে হওয়া সূর্যোদয় সহস্র আলোকবর্ষ পেরিয়ে সদ্য
পৌঁছালো পৃথিবীতে।
নিজেকে চিমটি কেটে দেখি, এতো স্বপ্ন নয়,
কালো কুয়াশার মতো আঁধার আস্তরণ কেটে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবে,
এই অভাগা জীবনে কে এলো মশাল নিয়ে?
ওকে কেউ বারণ করো প্লিজ, এ আঁধার আলোকে যে গিলে নিতে পারে!
হঠাৎই আমার সামনে এসে দাঁড়ালে তুমি, চাঁদের মতো স্নিগ্ধ,
সূর্যের মতো উজ্জ্বল আভা নিয়ে।
খিলখিল করে হেসে বললে, ‘বোকা মানুষ,
এটাও বোঝোনি,আঁধারের আলাদা কোনো অস্তিত্বই নেই?
এসো দুজনে বসি আমার আলোতে আপাতত,
ভোর হলে পুবদিকে সূর্যের খোঁজ পেতে হেঁটে যাওয়া যাবে..’


আর্যতীর্থ