। ফেবিকল।

হাঁসজারু আর ডিম পাড়েনি, বকচ্ছপের হয়নি ছানা,
হাতিমি যে কোথায় থাকে কেউ রাখেনি সেই ঠিকানা।

গোরুর পিছে লাগলে মোরগ এখন হতো গণ্ডগোল
গোরক্ষকে গুঁতিয়ে দিতো বাগিয়ে তার শিং প্রবল।

সিংহ বরং গেছেন টিকে হরিণের শিং গজিয়ে
মাংস যে খায় সে-ই তো গুঁতায়, হচ্ছে এখন রোজই এ।

টিয়ামুখো গিরগিটিটাও ছড়িয়ে গেছে কোণায় কোণায়
রংবদলের ভেলকি দেখায় টিভির নিবিড় আলোচনায়।

আজকে চলো নানান প্রাণী জুড়েই ফেলি ফেবিকলে
দেখাই যাক না সত্যি কিনা বিজ্ঞাপণে যেসব বলে।

গণ্ডারের হোক মস্ত ডানা জুড়ে ঈগল পক্ষীকে
পোচার এলে উড়ে যাবে লাগবেনা আর রক্ষীকে।

গাধা নাকি মোট বইতে করছে ভারী বেগড়বাঁই
তকমা দিতে দিই লাগিয়ে ময়ূরপাখীর পেখমটাই।

দুঃখী ছিলো রাঘব বোয়াল ,ক্যারদানি সব তার জলে,
খরগোশী দুই পা লাগিয়ে লম্ফ দিয়ে যায় চলে।

পেঁচা ঘুমায় সারাটা দিন ছাগল ঘুমায় রাতে
ছ্যাঁচা দেখো উড়ে বেড়ায় রোদ্দুরে জোছনাতে।

এক ঘাটে জল খায় না মোটেই ব্যাঘ্র এবং গাভী
বাঘোরু রে, জল খেতে বল কোন পুকুরে যাবি।

কুমির সবই পারতো কিন্তু দৌড়তে সে পারে না,
ঘোড়ার সাথে জুড়ে গিয়ে এখন রেসে হারে না।

প্রাণী জোড়া অনেক হলো, সহজ খুবই কে না জানে,
খুঁজছি আঠা, জুড়বো বলে হিন্দু এবং মুসলমানে।

আর্যতীর্থ