। গল্পের গল্প।


আজকাল আর গল্পে তেমন মন ভরে না
তেমন করে গল্প তো আর কেউ করে না
সবারই তো কথার ফাঁকে মুখ নিচু হয়,
না না, সেটা লজ্জায় নয়,
দূরের কোন বন্ধু হয়তো ডাক পাঠালো জালচিঠিতে,
অমনি জ্বলে মুঠোফোনের রঙিন আলো, শব্দ সাথে।
পকেট থেকে ফোনটা হাতে, মুখ নিচু হয়,  
আঙুলরা সব ব্যস্তবাগীশ তক্ষুনি তার  জবাব দিতে।
এদিকে যে সামনে বসে মাঝগল্পে আটকে আছে ,
কফির কাপে থমকে চুমুক, তার বেলা কি?
তার ভাগে তো বেবাক ফাঁকি,
সামনে বসে কাছের মানুষ দূরের কোনো গল্পে মেতে,
হরদিন হয় এমন কত গল্প শহীদ এই ফাঁদেতে।
সেসব গল্প আবছা হয়ে কান ও মনের কোন ফারাকে
বিষন্নতায় বিধুর হয়ে একলা বাঁচে?
নাকি বাঁচার ভান করে যায়?  
এমনি করে গল্পরা সব মাঝগল্পেই হেঁচকি তুলে রোজ মরে যায়।
আমরা যখন মুঠোফোনের বোতাম ছুঁয়ে শশব্যস্তে টাটকা কোন চুটকি পাঠাই  দূর বিভুঁইয়ে,
নিজের মনেই নিই ভেবে নিই এসব যুগে গল্প করার ধরন এটাই,
হয়তো তখন কাছের ভালো গল্প কোনো,
বলছে ডেকে আমায় শোনো,
কেউ শোনে ছাই?  
   অনেক লেখা গল্প সেজে সারাটা দিন টুং টাং টুং মধুর শব্দে মুঠোফোনে ঘাই মেরে যায়।  
আধমরা সব গল্পগুলো দূরে সরে যায়,
তাদের তো কেউ আমল দেয়না আজকাল আর।
মুঠোফোনই বন্ধু সবার, তাকে দূরে সরিয়ে  রেখে,
কাছের লোকের খেজুরমার্কা গল্প শোনে আহম্মকে!
  গল্পরা তাই মনমরা খুব, মর্মে মর্মে মরে আছে।
বিশেষ কোনো পাত্তা টাত্তা পায়না তারা কারো কাছে।
জমছে গল্প পাহাড় প্রমাণ,  সবার মনে,  খুব গোপনে।
ওসব গল্প দেয় না ধরা রংচঙে ওই মুঠোফোনে।
হয়তো হঠাৎ দেখতে পাবো ধস নেমেছে মনগুলোতে,  এতদিনের না বলা সব গল্পগাছা হুড়মুড়িয়ে আসছে নেমে মন ভাসাতে।
বাঁচছে কবি সেই আশাতে....


আর্যতীর্থ