। গল্পের খেই।


সারি সারি সিটের সামনে টি ভি স্ক্রিন, যে যার নিজের চলচ্চিত্রে ডুবে আছে,
সব্বার গল্পরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বিমানের আনাচে কানাচে।
কাহিনী বাছতে পারো বটে , মিলন না মজবে বিয়োগে,
কল্পনা জল্পনা স্বপ্ন বা বাস্তব দেখে নিতে পারো মনোযোগে,
কিন্তু ভাবতে গেলে, নিজের সিটটুকু সীমানা তোমার।
যদিও সত্যি করে কোত্থাও নেই কাঁটাতার,
তবুও, কি করে দেখবে বলো আশপাশে  অন্যের স্ক্রীন?
মানে ছাড়া কিছু ছবি, আনমনে চলমান শব্দবিহীন।
ধরা যাক তর্ক খাতিরে, ঠোঁটেদের নাড়াচাড়া দেখে মানে বুঝে যাবে,
দূর থেকে বুঝে নেবে চারদিকে কাহিনীরা গুটিগুটি কোথায় এগোবে,
তবুও কি পেয়ে যাবে আগাগোড়া সবটুকু খুঁজে?
হাবেভাবে আন্দাজে যতই ফেলোনা তুমি বুঝে,
নজর এড়াবে ঠিক  আপাত তাৎপর্যহীন সংলাপ কিছু,
গোলোকধাঁধায় ঘুরে হয়তো ছুটবে যে গল্পের পিছু,
বদলে গিয়েছে সেটা অজান্তে পুরোপুরি অচেনা জগতে,
যতই ফিরতে চাও, আন্দাজে তার হদিশ মিলবে না আর কোনোমতে।
এদিকে তোমার স্ক্রিনে ঘটে গেছে অন্য ঘটনা,
উঁকি মারবার এই অভ্যাসে করেছিলে বড় দোনোমনা,
ভেবেছিলে নিজস্ব গল্পটা চালু থাক শব্দ ও ছায়াছবি সহ,
তোমারই নির্বাচন, সুতরাং বুঝে যাবে কাহিনীপ্রবাহ।
যখন ফিরলে স্ক্রিনে, হয়তো দেখতে পাবে, ঘটনার হারিয়েছো খেই,
শব্দ ও ছবি মিলে যাসব চলেছে বলে, তুমি তার ধারেকাছে নেই।
এবারে করবে কি, স্ক্রিন জুড়ে ছায়াছবি সামনে পেছনে ডান বামে,
গল্প ধরার আগে হয়তো যাত্রাশেষ, বায়ুযান রানওয়েতে নামে...


আর্যতীর্থ