। গ্রন্থ।


প্রারম্ভে গেছি আটকিয়ে আমি, হে ধর্মাবতার।
যে গ্রন্থে হাত রেখে শপথ করতে আজ  বলেন আমায়,
সত্যি বলতে ,মানুষেরা কিছু মূল্য রেখেছে কি তার?


এসব গ্রন্থে পথের হদিশ নাকি উত্তরণের দিকে,
কজন আর সেটা নির্দেশ বলে মেনে পথ চলে, শুনি?
ধার্মিক আজ বিভিন্ন সব শর্টকাট গেছে শিখে।


খোলা তরোয়াল, বোম পিস্তল গোলাগুলি বন্দুকে,
মানুষী রক্ত ফোয়ারার মতো ধর্মের নামে ঝরে,
মাথা কাটা যায় অক্লেশে ওই গ্রন্থকে এনে মুখে।


ওসব গ্রন্থে হত্যাকে যদি বলে থাকে উপাসনা,
তাহলে হুজুর, ধরে নিতে হয় হিংসাই শাশ্বত,
সত্য বলবে কি করে যে দেয় নিধনের প্ররোচনা?


যদি বলে দেন ওইসব লেখা নেই এ গ্রন্থে কিছু,
আমি মেনে নেবো, অতটা খুঁটিয়ে পড়া নেই ঈশ্বর,
শুধু বলে দিন, কতগুলো খুন রয়েছে গ্রন্থপিছু?


শুধু পড়া বা না পড়ার অপরাধে গেছে অসংখ্য প্রাণ,
সেটুকু রইলো নাহয় ইতিহাসে, আগামীতে যাবেনা যে,
অন্তত সেই আশ্বাসবাণীটুকু আমাকে শোনান।


কাল যদি এ গ্রন্থ অজুহাত হয়ে ওঠে ফের হত্যার
নির্ঘাত তবে ধার্মিক সেজে কেউ মিছেকথা বলছে,
সন্দেহ রয়ে যায় তবে একে ছুঁয়ে শপথের সারবত্তার।


প্রারম্ভে আটকিয়ে গেছি তাই আমি, হে ধর্মাবতার।


আর্যতীর্থ