। হামিতে রাজি।


সকাল সকাল রাইয়ের কথায় চমকে তাকাই আমি,
চা দিতে দিতেই বলেন ‘ যাবে নাকি ‘হামি?’
আমি বলি এমন কেন গলতি সে মিসটেক,
উচিৎ ছিলো বলার আগেই করানো স্পেলচেক।
হামি কি আর যাওয়ার জিনিস, হামি খেতে হয়,
সে কার্যটি করতে শর্মা পিছপা কখনো নয়।
মুখ বেঁকিয়ে রাই বললেন ‘সখ দেখে যাই মরে!
চুল পেকেছে, দাঁতও বোধহয় দুচারটে নড়বড়ে,
হাঁটু কোমর ব্যথায় কঁকায়, হাঁপিয়ে সিঁড়ি ওঠে,
তারই মুখে আজকে যে প্রেম খইয়ের মতো ফোটে’
তেড়ে বলি,’ সবাই  কি আর মেট্রোবুড়ো নাকি?
কবে চুমু আসবে ঠোঁটে , অপেক্ষাতে থাকি।’
রাই বললেন, ‘অনেক হলো সকালে পাগলামি,
এটা নতুন সিনেমা গো, নাম দিয়েছে ‘হামি’।’
আমি বললাম’ যেতেই পারি, টিকিট কাটো, রাজি,’
রাই শুধালেন ‘সেটাও তোমার দেখতে হবে আজই?
একই দিনে দুটো দেখার ধকল সইবে চোখ?
তার চাইতে আজকে শুধু ‘হামি’ই দেখা হোক।’
অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বলি, ‘দুটো পেলে কই?
বললে তুমি দেখতে যাবে হামি নামের বই।
তাতেই আমি হ্যাঁ বলেছি, রাজি আছি বলে,
দুটো বইয়ের কথা আবার কোথায় এলো চলে?’
রাই বললেন ‘খবরটবর কিছু কি আর রাখো?
পচা ভোটের ল্যাজামুড়োয় কেবল বসে থাকো।
হিন্দিতে এক হিট সিনেমা , লিডে আলিয়া ভাট
‘রাজি’হলো সেটারই নাম, বুঝেছো আকাট?’
আমি বলি চুলকে মাথা , ‘আমি সবেই রাজি,
দুলছি প্রিয়ে নৌকা হয়ে, তুমিই আমার মাঝি।
হামি যেতে বললে যাবো, দিতে বললে দেবো,
রাজি কিনা সেটা ঠোঁটের ছোঁয়ায় জেনে নেবো।’
কিড়মিড়িয়ে রাই ঝামটান ‘বয়েস মনে রাখো,’
আমি হাসি ‘ সেটাই আমি খেয়াল রাখবো না গো।’
ধমকিয়ে কন রাইকিশোরী ‘আর পারি না আমি,
দুপুরবেলার টিকিট কাটি, দেখবো দুজন হামি।
আর কতদিন সইবো তোমার কথার হরির লুট?’
চোখ টিপে কই ,’বই আছে এক , হান্ড্রেডে নট আউট।’


আর্যতীর্থ