। হে ষষ্ঠ।


হে পৃথিবীর ষষ্ঠ অর্থনীতি,
তোমায় রাস্তাঘাটে, খেতখামারে , কলকারখানায় দেখা যাচ্ছে না কেন অত?
তোমার লাভের গুড়ের প্রসাদ ঋণখেলাপী চাষীদের হরির লুটে এখনো ছড়ালো না,
তোমার প্রকান্ড  শীতল ছায়ায় বাজারের আগুন হওয়া সবজীর দাম জুড়ালো না,
দেশভর্তি বেকার যুবকযুবতীদের খিদেপেটে চাকরির আশার গাড়ি একচুল গড়ালো না,
তাহলে তোমাকে বুকে জাপটিয়ে আপন করে নিই কি করে বলো তো?


হে মহান ষষ্ঠ অর্থনীতি,
বিশ্বাস করো, আমরা কাশ্মীর থেকে কেরল, ত্রিপুরা থেকে রাজস্থান তোমার ঢাকই পেটাতে চাই।
শুধু বুঝতে পারছিনা, রাস্তায় হুস করে চলে যাওয়া মার্সিডিজ জাগুয়ারের পাশে,
ঠাসাঠাসি করে যারা পাদানি উপচিয়ে কাজের সন্ধানে রোজ যায় ট্রেনে বাসে,
দুরি আর তিরি হয়ে মুখচোরা ভোটদানে কখনো বদলায়না যারা তুরুপের তাসে,
তাদের ময়লা পকেটে কেন মাস গেলে আজও পড়ে থাকে শুধু কাজপোড়া ছাই?


বলো হে ষষ্ঠ অর্থনীতি,
তোমার কত শতাংশ দেশবাসীর স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যয় হয়, কতটুকুই বা শিক্ষায়?
বিশ্বের তাবত মহাজনের কাছে যত কর্জ নিয়েছো তা পারবে কি মেটাতে তুমি?
এতই যদি আমরা চুড়োর দিকে ধাবমান, তবে খিদের থেকে মুক্তি পায়নি কেন জন্মভূমি?
সব হাতে কাজ  , সমস্ত মাথার ওপরে ছাদের দাবীতে আর কত বাজাবে ‘ এই হলো বলে’র ঝুমঝুমি?
হে অনির্বচনীয় পরিসংখ্যান, তুমি কি সেই উন্নতি, যাকে আসমুদ্রহিমাচল এই দেশ চায়?


উত্তর দাও হে ক্রমেই কোটিপতি বেড়ে যাওয়া নীতি, বাকি হদ্দ গরীবেরা আছি অপেক্ষায়।


আর্যতীর্থ