।হিসেব।


যতখানি রাগ পুষে রেখেছো ভেতরে,
ততখানি স্নেহ দিলে চারপাশ হয়তো বা উর্বর হতো,
অনাবাদী মনগুলো ভালোবাসা খুঁজে পেতে মাথা কুটে মরে,
কিছুটা বৃষ্টি হলে অঙ্কুর হতো কিনা তুমি আমি কেউ ভাবিনি তো।


যতটা হিংসে করে তির্যক তির যায় পড়শীর দিকে,
ততটা সরলভাবে মুখে হাসি এনে কথা হলে সরাসরি
দুঃখের পুরুদাগ দুতরফে হতো কিছু ফিকে,
হয়তো দেখতে পেতে এপারে ওপারে এক খাড়া থোড় বড়ি।


যতটা দহন সয়ে জমিয়েছো আধপোড়া আশাদের ছাই,
তোমার তাবত দায়  যদি মেনে নিতে হয়ে ততটা শীতল,
কাহিনীর শেষ ভাগ হয়তো বদল তবে হতো পুরোটাই,
অনায়াসে জানা যেতো কোথায় গড়িয়ে গেছে কোথাকার জল।


যতটা দুঃখ ভেবে পাওনার খাতাটাতে শূন্য লিখেছো,
তত মনোযোগ দিয়ে সুখগুলো খুঁটে খুঁটে খুঁজে নেওয়া গেলে,
বোঝা যেতো এতদিন গোটা ধারাপাত তুমি উল্টো শিখেছো,
সকালের সিঁড়িভাঙা নির্ভুল মিলে যায় অস্তরাগের সাথে মিশে বিকেলে।
হিসেবের খাতাটাতে বদলিয়ে দিতে যদি যতটা ততটা,
দেখতে জীবন ঠিক অতটা খারাপ নয় ভাবো যতটা।
আর্যতীর্থ