। হিসেবের কড়ি।


ব্যাংকের লাভ নাকি ষাট ভাগ খায় প্রতারকে ।
কোথা থেকে ফাঁক খুঁজে কোষাগারে ঢোকে,
বোধগম্য হতে হতে জোচ্চোর মহোদয় সীমানার বার,
ডিপোজিটে সুদ কমে তোমার আমার।


ওপরমহল তবু ক্যাশলেস হতে বলে ক্রমশ খোঁচায়,
অশরীরী কারা যেন থেকে থেকে হেঁকে ওঠে ‘ সব ঝুট হ্যায়!’
চার ছয় আট নয় শ’ হাজার কোটি টাকা রোজের খবরে,
এত টাকা উবে গেছে ! আগামীর কথা ভেবে বড় ভয় করে।


ষাট ভাগ! মানে বাকি চল্লিশে স্টাফের মাইনে আর নিভন্ত সুদ,
নড়বড়ে ক্রমে ক্রমে আমাদের সম্বল ,বিপদের কুঁড়ো আর খুদ।
তোমার ডেবিট কার্ড ক্লোন করে নিয়ে গেলো চোরেরা হেলায়,
জাহাজের ভ্রমে তুমি চেপেছো হে কলার ভেলায়, সঞ্চয় ভেসে চলে যায়...


তবুও ঢাকেরা বাজে।দুনিয়ায় ষষ্ঠ অর্থনীতিবল এই দেশ,
‘নাগরিক, নাকে তেল দিয়ে আরামসে ঘুম যাওয়া করো অভ্যেস!’
তেল দেবো, তেল কই? দাম কত জানো নাকি রাজসভাসদ?
আম্বানি হরিপদ গড় করে নিলে জেনো ছাপোষার ভীষণ বিপদ।


আজকাল যাবতীয় হিসেবের নথি থাকে ডিজিটালে তোলা।
ভেতরের থেকে কেউ কলকাঠি না নাড়লে অসাধ্য সেই তালা খোলা।
তবু তালা খোলে, সিন্দুক চেছেপুঁছে ঢেকুর তুলতে থাকে ঠগজোচ্চোর,
ব্যালেন্সে কম এলে ব্যাংকের হুমকিতে তোমার আমার করে বুক ধড়ফড়।


হে ষষ্ঠ অর্থনীতি, ভয়ে আছি হঠাৎ না ধেয়ে এসে তছনছ করে দেয় ঘরভাঙা ঝড়...


আর্যতীর্থ