। ঈশ্বর।


নিদারুণ শীত এসেছিলো সেবছর।
হিমাংক শূন্য ছোঁয়নি ঠিকই, তবে কনকনে হাওয়া গায়ে এলে,
সেটা বিশ্বাস হয়না ।
কেয়ার অফ ফুটপাথ বুড়ো ভিখিরিটার অবস্থা শোচনীয় , এমন ঠাণ্ডা হলে এটা তার জীবনের শেষ শীত হবে।
খুদেটা স্কুলবাস থেকে সব দেখে। কচিমনে কি যে মনে হয়,
বাড়ি ফিরে সেটা তার বাবাকে জানায়।
ছেলের আবদারে, অবশেষে ভিখিরির জোটে কম্বল, সোয়েটার, এমনকি গত হওয়া দাদুর উত্তরাধিকারে পাওয়া মাংকি ক্যাপও একটা।
ভিখিরিটা জানে, ঈশ্বর মানে এক শিশু, পরনে ইউনিফর্ম,
অনাবিল হাসি লেগে টানা টানা চোখে।


খুদেটার বাস মিস হয় একদিন। সেটা চালকের ইচ্ছাকৃত কিনা, সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে।
পাড়াতুতো এক কাকু এসে নিয়ে যায় তাকে, অবশ্য বাড়ির দিকে নয়।
যথারীতি মুক্তিপণের দাবী, মাঝরাতে খসখসে গলায়।
পুলিশকে জানালেই...ফোন কেটে যায়।
এরকম ঘটনার যেরকম পরিণতি, সেরকমই হোতো,
যদি না বুড়ো ভিখিরিটা দেখে ফেলতো গোপন ডেরা।
চুপিচুপি আতঙ্কিত খুদেটাকে নিয়ে যখন সে থানায় পৌঁছালো,
তখন শহুরে সূর্য আড়মোড়া ভাঙছে।
খুদেটা জানলো, ঈশ্বরের কোন মুকুট বা জ্যোতিটোতি নেই,
তাঁকে দেখতে অবিকল ফুটপাথের এক বুড়ো ভিখিরির মতো।


আর্যতীর্থ