।জাগৃতি।


স্রোতের মতো শহর ঢাকে ছেড়ে বলদ হাল কিষাণ,
যেদিকে চাও , ছড়িয়ে গেছে প্রতিরোধের লাল নিশান।
লাল কমলা জরুরী নয়, কাস্তে হোক বা হাত বা রাম
অবশেষে জাগছে তারা, ফসল মাখে যাদের ঘাম।


স্বাধীনতার পর থেকে সেই লোকদেখানো কর ছাড়ে,
হয়নি বদল চাষীর হালে , যেরঙ বসুক সরকারে।
আজও মেঘেই আটকে কৃষক,ভরসা আজও বর্ষাতে,
ফার্ম গড়ে সব ধনাঢ্যরা, শূন্যে নামে কর যাতে।


মহাজনও হয়নি খতম, ফসল লুটে নেন তাঁরা,
ব্যাংকে চলে স্বল্প সুদে ঋণের নামে ভ্যানতারা।
চাষীর পাশে দাঁড়ায় নি কেউ, মসনদে থাক যেই দলই,
নির্বাচনেই ঢক্কানিনাদ, ভাগ্যে জোটে ‘ নেই’ খালি।


শাসক ভাবেন কুঁচকে ভুরু, এই ভিড়ে যে দেখছি লাল,
নির্ঘাত এ ষড় করে আজ বিরোধীদের ধূর্ত চাল।
লালের যত সমর্থকের আজকে মেজাজ শরিফ বেশ,
ফিরছে বুঝি বাম আবারও, নিশান শোনায় সে নির্দেশ।


রঙের যত রংবাজেরা, স্রোত দেখে হন সন্দিহান,
নিশান ছেড়ে সামনে দেখুন, জেগেছে আজ সব কিষাণ।


আর্যতীর্থ