। জানি।


তোমরা মেনে নিতে বলো যে পুজোর ফুল আর উপচার ছেড়ে হিন্দুর বাড়িতে তরোয়াল বন্দুক সাজানো হচ্ছিলো?
তোমরা মেনে নিতে বলো মুসলমানের বাড়ি সব কাজ ফেলে রেখে হিন্দুর পুজো পণ্ড করার কথা ভেবে যাচ্ছিলো?
রোজের রান্না থামিয়ে, প্রাতরাশ বাড়তে বাড়তে দুধর্মের মায়েরা বলছিলেন , যা বাছা, রক্ত মেখে আয় কিছু আজ,
আর বাবা ও আব্বারা রুটিরুজি শেখানোর বদলে বলে দিচ্ছিলেন  মানুষ খুন করাটাই তোর একমাত্র কাজ?
তোমরা মানতে বলো দিদি আর আপারা ভাইদের বলেছিলো দেখি কটা বোমা আছে তোদের জমানো?
বউ আর বিবিরা ঘরের মানুষটাকে ডেকে বলেছিলো চাল বাড়ন্ত তবু যাও , ভিনধর্মের মাথা কেটে আনো?
তোমাদের হিসেবে কি তাবত যুবসমাজ পেটে কিল মেরে অপেক্ষা করছিলো কখন ভাঙচুর করবে ধর্মের নামে?
আর দুতরফে ধার্মিক বয়োজ্যোষ্ঠজন প্রার্থনা করছিলেন ভীষণ যুদ্ধ বাধুক আল্লাহ ও রামে?
তোমরা কি জানতেনা কোন কোন শয়তান ধর্মের ছুতো দিয়ে কোথায় তৈরী করে রক্ততে ভিজে থাকা বিভেদের জমি?
তোমরা বোঝোনি নাকি  হিংস্রতা ছড়িয়ে কারা ছিঁড়েকেটে খেতে চায় সব মহরম আর রামনবমী?


আসলে আমরা জানি , তোমরা বুঝেছো সব, তবুও ধর্মের ঘাড়ে প্রতিবার চেপে যায় দায়,
আসলে আমরা জানি, আমাদের ছেলে খুনে তোমাদের ইভিএমে ভোট বেড়ে যায়...


আর্যতীর্থ